বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টিকাদান কর্মসূচির চতুর্থদিন সারাদেশে মোট এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭০ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে।
আর এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন তিন লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৯ জন। তাদের মধ্যে মোট ২৭৭ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১১ হাজার ৬৯১ জন ও নারী ৪৬ হাজার ৭৬০ জন।
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৪০ হাজার ৯০৭ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ হাজার ৫৪৯ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ হাজার ৪৫৮ জন। রাজশাহী বিভাগে ১৭ হাজার ৯৭১ জন। রংপুর বিভাগে ১৪ হাজার ২২৪ জন। খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ১১৫ জন। বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার ১৪৭ জন। সিলেট বিভাগে ১৭ হাজার ৮০ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিনে সারাদেশে টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন ও নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানীতে ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি টিম কাজ করবে এবং সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।
এছাড়া ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য সাত হাজার ৩৪৪টি টিম প্রস্তুত রয়েছে। তবে আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।