রাজধানী ঢাকাতে সিসিটিভির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চুরির কৌশল পাল্টাচ্ছে অপরাধীরা। একক প্রচেষ্টায় খুলে ফেলছে যে কোনো তালা। রাজধানীর বাড্ডায় দুটি দোকানে চুরির ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এমন তথ্য। অপরদিকে, অপরাধীরা যতই চালাকির আশ্রয় নিক না কেন, তাদেরকে ধরতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি দক্ষতা বাড়াচ্ছে পুলিশ।
ভোর রাত চারটা চল্লিশ মিনিটে সবাই তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। পাজামা-পাঞ্জাবি গায়ে মুখে দাঁড়িওয়ালা এক যুবককে দেখা যাচ্ছিলো গলির এদিক-সেদিক ইতস্তত ঘোরাঘুরি করতে। পুরো রাস্তা যখন ফাঁকা তখন একটি দোকানের তালা খোলার কাজে ব্যস্ত একজন যুবক। প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয়বারে এক নিমিষেই খুলে ফেলেন তালা। খুলে দোকানের মালামাল নিয়ে চলে যান তিনি। এর কিছু সময় পরে একই গলির হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানে ঢুকেও ল্যাপটপ আর নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিনই হোমিও চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম থানায় একটি চুরির অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী হোমিও চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, সাটার খুলে দেখি ল্যাপটপ নেই সবকিছু এলোমেলো আর ১০ হাজার টাকা ছিল তাও নেই।
সোমবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গুলশান বিভাগ থেকে ফোন করে জানানো হয়, হারানো ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে চোরও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে গুলশানের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, চুরি করা ব্যক্তিদের মাঝে স্মার্টনেস আছে। তারা পোশাকেও খুব স্মার্ট এবং সবকিছু খুব সচেতনভাবেই করে। তাই সিসিটিভি ব্যবহারের পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা বাড়ানো এবং যে কোনো চুরির পরে পুলিশের সাহায্য ও পরামর্শ নেয়া উচিত।