আলুর বাজারে বাড়তি দামের ফলে ভোগান্তিতে ভোক্তারা। সরকারের নানা উদ্যোগের পরও আলুর সংকট কাটছে না। নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় এই সবজিটির খুচরামূল্য। হিমাগার পর্যায়ে দাম কিছুটা কমলেও খুচরা পর্যায়ে এখনো ৫০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। এ পরিস্থিতিতে গতকাল হিমাগার মালিক ও আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে : সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রি করা হবে, প্রতি কেজির দাম পড়বে ২৫ টাকা। সভায় টিপু মুনশি বলেন, ‘ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে আলু সরবরাহের লক্ষ্যে কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রাকসেলের মাধ্যমে আলু বিক্রির কার্যক্রম শুরু করবে টিসিবি। ভোক্তারা ২৫ টাকা কেজি দরে সবজিটি কিনতে পারবেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে সবজির ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আলুর চাহিদা বেড়েছে। তবে দেশে আলুর উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি। প্রচুর আলু মজুদ রয়েছে।’
কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় ওঠার পর গত ৭ সেপ্টেম্বর হিমাগার থেকে শুরু করে পাইকারি, খুচরা এই তিন পর্যায়ে আলুর দাম বেঁধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। যেখানে হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারি ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সেই দামে আলু বিক্রি করেনি ব্যবসায়ীরা।
এমন কি কোল্ডস্টোরেজ থেকেও নির্ধারিত দামে আলু সরবরাহ বন্ধ করে দেয় হিমাগার মালিকরা। কৃষকের দোহাই দিয়ে প্রতি কেজি আলুতে দ্বিগুণেরও বেশি মুনাফা করছিল তারা। এ অবস্থায় গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনী, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই-এর প্রতিনিধিসহ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি।