গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন যে, সৌদি আরবে গিয়ে দেশটির বাদশাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান করতে।
আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও ইউরোপসহ প্রবাসে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মস্থলে আকামা, ভিসা সমস্যা সামাধানে করণীয় শীর্ষক এক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় সভায় আরো কথা বলেন চট্টগ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদিন বাকের।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি গড়েছেন আমাদের দেশের প্রবাসীরা। তাদের প্রতি আমরা সম্প্রতি যে ব্যবহার করছি, তা উদ্বেগের। তাদের প্রতি পুলিশের লাঠিচার্জ জঘন্য অপরাধ। প্রবাসীদের প্রতি এমন ব্যবহারের পরিবর্তে সরকারের উচিত প্রত্যেকটা প্রবাসীকে সরকারি অর্থে হোটেলে রাখা এবং তারপর সরকারের দায়িত্ব হবে প্রবাসীদের ভিসা ও আকামার সমস্যার সমাধান করা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ঘরে না থেকে সৌদি আরবে গিয়ে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে দেখা করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। তাদের বুঝিয়ে বলা উচিত আমাদের সমস্যার কথাগুলো। প্রধানমন্ত্রী মুসলিম রাষ্ট্রের একমাত্র নারী নেত্রী। তার একটা গুরুত্ব আছে। ফোনালাপে এই সমস্যার সমাধান হবে না। প্রধানমন্ত্রী সৌদি গেলে সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি অ্যাম্বাসিতে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলোও তিনি দেখে আসতে পারবেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেড় কোটি প্রবাসী যদি দেশে ফিরে আসে তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো হবে না। এমনিতেই অসংখ্য রোহিঙ্গা আমাদের দেশে অবস্থান করছেন। একই সাথে প্রবাসীরা দেশে ফিরে এলে তাদের জমানো অর্থ ফুরিয়ে যাবে। তখন আরো একটা সংকটের সৃষ্টি হবে। আর বর্তমানে এমনিতেই ঢাকাতে হাঁটার জায়গা নেই, অতিরিক্ত দেড় কোটি মানুষ এলে এই অবস্থা আরো শোচনীয় হবে।
তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে মন্ত্রী বা সরকারি আমলাদের পাঠিয়ে কিছু হবে না। সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে গিয়ে লাটসাহেব হয়ে যান। তাই সমস্যার সমাধানের আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীকেই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শেখ হাসিনা সেখানে গেলে সৌজন্যবোধ এবং তার সম্মানে ও শিষ্টাচারে এই সমস্যাটার সমাধান হয়ে যাবে। একই সঙ্গে আমাদের প্রবাসীদের সম্মান দেখানো হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এখন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, এটা ভুল সিদ্ধান্ত। প্রয়োজনে দুই শিফটে ক্লাস পরিচালনা করা যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া উচিত।
সভায় সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীন বাকের প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন এবং সরকারের প্রতি এগুলো সমাধানের আহ্বান জানান।