অনিয়ম ও করোনার ভুয়া পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভালোই সমালোচনায় ছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বহুল পরিচিত মুখ ডা. আয়েশা আক্তারকে এবার অধিদপ্তরের বাইরের একটি প্রতিষ্ঠানে বদলি করা হয়েছে। ২০ আগস্ট অধিদপ্ততরের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ওএসডি) এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১, এনডিসি (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ) ডা. আয়েশা আক্তারকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এরপর ২৭ আগস্ট ওই উপসচিবের স্বাক্ষরিত আরেক প্রজ্ঞাপনে তাকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়। তার স্থলে প্রোগ্রাম ম্যানেজার-১, এনডিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (ওএসডি) ডা. আবদুল আলিম।
মাত্র সাত দিনের মাথায় আকস্মিকভাবে ডা. আয়েশার বদলির নির্দেশে অধিদপ্তরের চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিস্মিত হয়েছেন। তারা বলছেন, ডা. আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলেও মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে মূলপদে ফিরিয়ে নেয়া এবং তাকে অধিদপ্তরের বাইরে বদলি করাটা সরকারি নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে না।
ডা. আয়েশা আক্তার মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে পদত্যাগকারী স্বাস্থ্য মহাপরিচালক (বিদায়ী) ডা. আবুল কালাম আজাদের নির্দেশনায় অধিদপ্তরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কিন্তু বর্তমান মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর তাকে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে মৌখিক নির্দেশনা দেন। মৌখিক নির্দেশের পর থেকে তিনি আর কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন করেননি। ২০ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রেল রুমের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২৭ আগস্ট তাকে শ্যামলীর টিবি হাসপাতালে বদলি করা হয়।