জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও জেকেজি হেলথকেয়ার চেয়ারম্যান এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চত করে আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুল আলম বলেন, মামলা তদন্তের দায়িত্ব ডিবিতে ন্যস্ত হয়েছে। এখন থেকে ডা. সাবরিনাকে ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, তেজগাঁও থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে থেকে স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করার অভিযোগে ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত রবিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তিন দিনের রিমান্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সূত্র জানায়, জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীর প্রতারণার নেপথ্যে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। জেকেজি-এর চেয়ারম্যান হিসেবে সব যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবরিনাই। গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
এছাড়া রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও পাওয়া যায়। কলেজের কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের লোকজন।
জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।