চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো চন্দ্রগ্রহণ সংগঠিত হবে। এবারের চন্দ্রগ্রহণ স্থায়ী হবে ৩ ঘণ্টা ১৮ মিনিট। আজ রাতে বাংলাদেশ সময় ১১ টা ৪৫ মিনিটে এই গ্রহণ শুরু হবে আর শেষ হবে ৬ জুন বাংলাদেশ সময় ৩.০৪ মিনিটে (ভোররাতে)। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ বিষয়টি নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়ার বিশেষ কিছু এলাকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে চন্দ্রগ্রহন দেখা যাবে।
এবার চন্দ্রগ্রহণে চাঁদকে দেখাবে প্রায় পূর্ণিমার চাঁদের মতো। কারণ পৃথিবীর প্রধান ছায়ার ভেতরে থাকবে না চাঁদ। বরং তা থাকবে পৃথিবীর প্রচ্ছায়ার মধ্যে। তাই এবারের এই চন্দ্রগ্রহণকে বলা হচ্ছে penumbral lunar eclipse। সাধারণভাবে জুন মাসের চাঁদকে বলা হয় স্ট্রবেরি মুন। তাই এই চন্দ্রগ্রহণকে বলা হচ্ছে স্ট্রবেরি penumbral lunar eclipse। এরপর বছরের তৃতীয় চন্দ্রগ্রহণ হবে ৫ জুলাই।
বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হবে ৩০ নভেম্বর আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, সূর্যগ্রহণের মতো চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনও আলাদা সতর্কতার প্রয়োজন নেই। খালি চোখেই এই গ্রহণ দেখা যেতে পারে। তাতে চোখের ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। তবে টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহণ দেখলে নিঃসন্দেহে গ্রহণের সৌন্দর্য আরও তীব্র ভাবে ধরা পড়বে।
পৃথিবী যখন চন্দ্র ও সূর্য-এর মধ্যে চলে আসে, তখন পৃথিবীর আড়ালে চাঁদ ঢাকা পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়। সূর্য একটি তারা বলে তার আলো পৃথিবীতে বাধা পায় এবং চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। পৃথিবী চাঁদের চেয়ে বড় হওয়ায়, পৃথিবীর ছায়া চন্দ্রপৃষ্ঠকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে।
এই কারণে চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর কোনো কোনো অংশে পূর্ণগ্রাস হিসাবে দেখা যায়। এই পূর্ণগ্রাস বা আংশিকগ্রাস পৃথিবীর সকল স্থান থেকে একই রকম দেখা যায়। কিন্তু পৃথিবীর সকল স্থানে কোনো না কোনো সময় পূর্ণ বা আংশিক গ্রহণ দেখা যায়।