পুলিশের এক সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যা, স্ত্রী নির্যাতন, যৌতুকের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) রাতে রমনা থানায় নাজমুস সাকিব নামে পুলিশের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি (নং-০২) দায়ের করেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান।
অভিযুক্ত এএসপি নাজমুস সাকিব বর্তমানে র্যাব সদরদপ্তরে কর্মরত আছেন। মামলায় ইশরাত রহমান তার স্বামী নাজমুস সাকিব, শ্বশুর সফিউল্লাহ তালুকদার, শাশুড়ি খালেদা সুলতানাকে অভিযুক্ত করেছেন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালে মার্চে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন।
টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।
বাদী ইশরাতের অভিযোগে আরও বলেন, নাজমুস সাকিবের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের যেসব ব্যক্তিগত স্থিরচিত্র ও ভিডিও আদান প্রদান হতো, সেগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। আমি ও আমার পরিবার প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) ইমেইলের মাধ্যমে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রমনা থানায় অভিযোগটি পাঠান। তবে ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ আমলে না নেওয়ার কথা জানানো হলে ভুক্তভোগী থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দাখিল করলে সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।