করোনাযুদ্ধে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের করোনায় আক্রান্ত হওয়া ৮১৩ জন সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাদের অনেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের উন্নত ও মানসম্মত \”চিকিৎসা ও সেবায়\” সুস্থতার হার দ্রুততার সাথে বাড়ছে।
আজ রবিবার পর্যন্ত নতুন করে ১৬৬ জন আক্রান্তসহ বাংলাদেশ পুলিশের ৩ হাজার ৭৩২ জন সদস্য জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ১৩ জন পুলিশ সদস্য মারা যান।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রামণ ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রূষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশ আক্রান্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রুততার সাথে বাড়ছে সুস্থতার হার।
পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, চলমান করোনাযুদ্ধে মাঠ পর্যায়ের প্রধান অগ্রসেনানী বাংলাদেশ পুলিশ। এ কারণে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সবার আগে পুলিশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবুও একবিন্দু দমে না গিয়ে শক্ত মনবল আর পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ পুলিশ।