ঘূর্ণিঝড় আম্পান: সন্ধ্যায় আঘাত, ভয় জলোচ্ছ্বাসে

করোনা আতঙ্কের পর এবার ঘূর্ণিঝড় আম্পান নিয়ে আতঙ্কিত গোটা দেশ। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান আজ বুধবার সন্ধ্যায় দেশের সমুদ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন নিকটবর্তী উপকূল দিয়ে অতিক্রম করা শুরু করবে। এলাকা পেরিয়ে যেতে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি আজ বুধবার দুপুর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার, কক্সবাজার উপকূল থেকে ৪৭০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯০ ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকাকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান আজ সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসসহ অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা নৌযানগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Scroll to Top