দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনার প্রাদুর্ভাব। সারা দেশে ১৬২ জন পুলিশ সদস্য গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫৬ জনে।
গত শনিবার এই সংখ্যা ছিল ১৫০৯ এবং পরের দিন রবিবার ছিল ১৫৯৪ জন। প্রতিদিন নতুন সদস্য বাড়লেও মাঠপর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে কোয়ারেন্টিনে থাকা পুলিশের সংখ্যাও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আর করোনাযুদ্ধে এ পর্যন্ত মারা গেছেন সাত পুলিশ সদস্য। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যই ৮১০ জন। গত রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৭৪৫ জন। বরাবরের মতো আক্রান্তদের মধ্যে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যই বেশি।
ডিএমপি সূত্র জানায়, করোনায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও তাদের দুইজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।
সারা দেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের তথ্য উপাত্ত থেকে জানা গেছে, পুলিশে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আরও ১১০৩ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে চার হাজার ৮০৩ জনকে। এ পর্যন্ত ১৬৫ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি ইমপালস হাসপাতাল আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরইমধ্যে সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আর ছয়টি বিভাগীয় শহরে হাসপাতাল ভাড়া করে সেখানেও প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। আক্রান্ত সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি।
এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ইউনিট কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলছেন আইজিপি। করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন সদস্যদের খোঁজ খবর নিতে উচ্চতর পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা মনিটরিং কমিটিও করেছে পুলিশ।