করোনা তাণ্ডবে বেসামাল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনকালে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের আরও এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যের নাম জালাল উদ্দিন খোকা (৪৭)। কনস্টেবল পদমর্যাদার এ পুলিশ সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় গত ২৬ এপ্রিল কনস্টেবল জালাল উদ্দিনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস পজিটিভ এলে তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জালাল উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা থানার উড়াহাট গ্রামে। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা সম্পন্ন হবে। পরে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সাত সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন। ছয়জন হলেন- ডিএমপির এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায় (৪৮), কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০), এএসআই মো. আব্দুল খালেক (৩৬), ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ (৪৩), পিওএম’র এসআই সুলতানুল আরেফিন এবং এসবির এসআই নাজির উদ্দীন (৫৫)।