দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনার তাণ্ডব। ‘ঈদ-উল-ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না’। এমন বিধান রেখে ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়ালো সরকার। সাধারণ ছুটি থাকছে ১৬ মে পর্যন্ত। নতুন ছুটি নতুন আরেকটি বিষয় যুক্ত করেছে সরকার। তা হলো- ‘রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।’ এর আগে এমন নির্দেশনায় রমজান ও ঈদের কথা উল্লেখ ছিলনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সোমবার দুপুরে বলেন, এবারের ঈদে যে যেখানে আছেন, সেখানে থেকেই ঈদ পালন করতে হবে। এই প্রজ্ঞাপন শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য নয়, দেশের সকল মানুষের জন্য। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শপিং কমপ্লেক্স, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা সেটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই।
সোমবার দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজকের জারি করা প্রজ্ঞাপনে অন্যান্য বিষয়গুলো বিগত সময়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনেও ছিল। গত শনিবার ছুটির বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিল জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্টরা। প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পরিণত হলো। প্রজ্ঞাপনে ১৪ মে পরযন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১৫ ও ১৬ সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত থাকবে। এতে করে দেশব্যাপী টানা ছুটি ৫৩ দিনে গড়ালো। এরই মধ্যে অবশ্য সীমিত আকারে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় আরো দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই প্রজ্ঞাপনে যেসব বিষয় পরিষ্কার নয় সেগুলো ওই দুই প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত জানানো হবে।