পোশাক কারখানা চালুর ঘোষণায় কাজে যোগ দিতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বেড়েছে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ব্যাটারি চালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন।
আজ বুধবার ভোর থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামুখী এসব যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে এসব যাত্রীর মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকই বেশি।
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীরা বলেন, কাজে যোগ দেবার জন্য গার্মেন্টস থেকে ফোন করেছে, যে কারণে খুব কষ্ট করে দৌলতদিয়া এসেছি। মাগুরা ও যশোর থেকে আসা একাধিক যাত্রীরা বলেন, আমরা জনপ্রতি এক হাজার টাকা করে দিয়ে গ্রামের ভিতরের রাস্তা দিয়ে দৌলতদিয়া পর্যন্ত এসেছি। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমার কাজে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি বহরে ১৮টি ফেরির মধ্যে সিমিত আকারে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। জরুরী প্রয়োজনে পণ্য পরিবহনের কথা থাকলেও বিপুল সংখক পোশাক শ্রমিক নদী পার হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি যাত্রী পারাপার ঠেকানোর জন্য তবে তাদের মানবিক দিকটা বিবেচনা করে পোশাক শ্রমিকদের ফেরিতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে।