নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বের দেশে দেশে চলছে লকডাউন। থমকে গেছে মানুষের জীবন-জীবিকা। ধসে পড়ছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি। দুর্ভিক্ষসহ কঠিন বাস্তবতার দিকে এগিয়ে চলেছে বিশ্ব। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ব অর্থনীতি সচল রাখতে ও মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচাতে বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে শিথিল করছে লকডাউন।
ইউরোপের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রথম থেকেই বেশি। সে কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে লকডাউনও বেশ আগে থেকে। তবে ধীরে ধীরে ইতালি, স্পেন, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করেছে। ইউরোপের অন্যতম দেশ জার্মানিও লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া গ্রিস ও দক্ষিণ কোরিয়ায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় লকডাউন শিথিলের পর সেখানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুহারের শীর্ষস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেশটির সরকার লকডাউন করে রেখেছে গোটা দেশ। অনেক মার্কিন নাগরিক এই লকডাউন মানতে নারাজ। অনেক জায়গায় লকডাউন ভেঙেই মিছিল সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা।
ভারতেও চলছে লকডাউন। আগামী ৩ মে পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। তবে ভারতেও লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা চলছে। ভারতে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন শিথিলও করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন প্রত্যাহারের পরিকল্পনায় ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে লকডাউন ঘোষণা না করলেও দেশে কার্যত লকডাউন চলছে। বিভিন্ন জেলায় জেলায় ও থানায় থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে লকডউন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে ছুটি ঘোষণা ও দোকান-পাট-কল-কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। যেটা অন্য দেশের মতোই লকডাউন। আগামী ২৫ এপ্রিল এই ছুটি শেষ হবে। তবে ছুটির মেয়াদ আবারও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।