লকডাউন অমান্য করে ঢাকা থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন সিলেট যাওয়ার বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ট্রেনে করে রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন বহন করার জন্য কিছু সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট গিয়েছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
শনিবার বিকালে অন্তত ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেটে পৌঁছায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
রেলওয়েতে কর্মরত লোকজন ও নিরাপত্তারক্ষীদের সহায়তায় আন্তঃনগর ট্রেনের দুটি কোচে করে ওইসব যাত্রীদের বহন করা হয় বলে জানা গেছে।
তবে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান বলেন, ‘বেতন-ভাতা নিয়ে ঢাকা থেকে রেলওয়ের পাঁচজন লোক এসেছে। আর ট্রেনটি প্রতি স্টেশনে থেমে থেমে বেতন পৌঁছে দেয়ায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনসহ ২৪ জন সিলেটে এসে পৌঁছেছে। অন্য কোনো লোকজন ট্রেনে আসেনি।’
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে দুটি কোচে করে ঢাকা থেকে যাত্রী তোলা হয়। বেতনের টাকা আনার অজুহাতে তাদের সিলেট নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এটি কোনো সম্পূর্ণ ট্রেন ছিল না, শুধু ট্রেনের দুইটি বগি ইঞ্জিনের সাথে ছিল। এখানে শুধু রেলের স্টাফরাই ছিল বাইরের লোক ছিল না। ট্রেনটিতে করে আমাদের স্টাফদের বেতন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভোলাগঞ্জে রেলের যে পাথর মহল আছে সেখানে কর্মরত কিছু নিরাপত্তা কর্মী ওই ট্রেনে করে গিয়েছে, মাঝপথে তারা ট্রেনটি উঠেছিল তাই লোক বেশী মনে হয়েছে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এটা রেলের নিয়মিত কার্যক্রম, ট্রেনে করে রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন বহন করা হচ্ছিল। ট্রেনে থাকা টাকার নিরাপত্তা দিতে কিছু নিরাপত্তাকর্মী নেয়া হয়। ওখানে সাধারণ যাত্রী ছিল না। তবুও আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, ইতোমধ্যে সিলেট স্টেশনের এক নিরাপত্তাকর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনিয়ম কিছু হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।