করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে অসহায় হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে এখন প্রায় সবাই মাস্ক পরছে। আপনি কি এখনও বাজার-দোকানে যাচ্ছেন? বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন ওষুধ কিনতে? অবশ্যই মাস্ক পরে যাচ্ছেন। তবে মনে রাখবেন, ওষুধের দোকানে মাস্ক কেনার জন্য ভিড় করবেন না। কারণ, আপনার সার্জিক্যাল মাস্ক বা এন-৯৫ না হলেও চলবে। বরং, বাড়িতে বসেই এবার বানিয়ে ফেলুন মাস্ক। যা লাগবে, সে সব তো হাতের কাছেই আছে। ধরা যাক, পুরনো টি-শার্ট, রং-ওঠা কোনও কাপড় বা প্রায় ভুলে যাওয়া একটা রুমাল। সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন মাস্ক।
যা করবেন
এমন ভাবে মাস্ক পরবেন যেন তা উপরে দুই চোখের মাঝামাঝি নাকের যে অংশটি, ততটা ঢেকে রাখে এবং নীচে চিবুকের তলা পর্যন্ত ঢাকা থাকে। আঁট করে পরুন যেন মুখোশে কোনও ফাঁক না থাকে।
যা যা করবেন না
১. শুধু নাকের ডগা পর্যন্ত ঢাকা আছে, এমনভাবে মাস্ক পরবেন না।
২. চিবুক খোলা রাখবেন না।
৩. নাক ও মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে ফেলুন এবং মনে রাখবেন, মুখ ও মাস্কের মধ্যে যেন কোনো ফাঁকা স্থান না থাকে।
৪. এমনভাবে মাস্ক পরবেন না যা নাকের তলা থেকে শুরু হয়।
৫. মাস্ক অপসারণের পর হাত পরিষ্কার করে নিন।
৬. চিবুকের তলায় ঠেলা দিয়ে মুখোশ গলায় ঝুলিয়ে রাখবেন না।
জরুরি পরামর্শ
১. মাস্ক পরার আগে এবং পরে সব সময় হাত ধোবেন।
২. মাস্ক সংক্রমণের থেকে বাঁচাতে পারে ঠিকই, কিন্তু ভুল করেও ভাববেন না যে মাস্ক পরলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।
৩. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং লকডাউন এর যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলুন।
৪. মাস্ক পরা এবং খোলার জন্য শুধু তার দড়িগুলি বা গিঁটগুলি ব্যবহার করুন।
৫. যখন মাস্কটি খুলবেন, কখনও এর সামনের অংশ ছোঁবেন না।
৬. যাঁরা ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকেন, ঘরে ঢোকার পর মাস্কটি খুলবেন। কারণ সিঁড়ি এবং লিফটে সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনা।
৭. প্রতি দিন মাস্ক ধুয়ে শুকিয়ে নেবেন, এবং সেটি একটি পরিষ্কার ও শুকনো জায়গায় রাখবেন।