চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নির্মাণাধীন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল কে বেছে নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য । ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোয়ারেন্টাইনের জন্য হলটি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমন কোয়ারেন্টাইনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাসকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝুঁকিতে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর ব্যাপ্তিকাল সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এ আপদকালীন সময় চলবে ততদিন পর্যন্ত এ কোয়ারেন্টাইন বলবৎ থাকবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবাসকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দক্ষিণে ১০০ গজের মধ্যে ৫০০ কর্মচারীর পরিবার বাস করে। এছাড়া ২০০ গজ পূর্বেই শিক্ষকদের আবাসিক কলোনি। এটি অনেকটা বারুদের মধ্যে মধ্যে বসবাস করা। দেশের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে হলেও, সবার আগে অবশ্যই এখানে যারা বসবাস করে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকটি প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিল।
তবে ক্যাম্পাসে বসবাসকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝুঁকিতে পড়বেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হলেও কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। কারণ হলটি লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে। যেহেতু সরকারি সিদ্ধান্ত তাই সাধারণ জনগণের জন্য ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা আমরা রাজি হয়েছি। আর সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধান করবে তাই আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।