শীত এর দিনগুলো থাকে খুব সুন্দর ভারী পোশাক পোরে শীতের বিভিন্ন পিঠা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। কার্তিক পেরিয়ে চলে এসেছে অগ্রহায়ণ। ইংরেজি বর্ষপঞ্জির হিসাবে এখন চলছে নভেম্বর মাস। এখনো শীত যেন জাপটে ধরতে পারছে না। রাতে ঘুমালে তাই কাঁথা-কম্বল টেনে শরীরটাকে ঢেকে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না, আবার হাত-পায়ের চামড়ায় তেমন টান ধরছে না। রাজধানী ঢাকায় এখনো ফ্যানের বাতাসের গুরুত্ব কমে যায়নি। অনেকেরই প্রশ্ন, শীত আসবে কবে?
এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো এখন কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তা থেকে। গতকাল রোববার সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এটি ছিল ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, ঢাকায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর কম হলে শীত টের পাওয়া যায়।
তাই কয়েক দিন ধরে যেভাবে তাপমাত্রা কমছে, এতে শীতের পুরো ভাবটা আসতে বেশি সময় লাগবে না। হয়তো নভেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যে সারা দেশে শীত পুরোপুরি চলে আসবে।
আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানা গেছে, সারা দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের বেলা তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিনের বেলা এটি অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী তিন দিন রাতের বেলা তাপমাত্রা আরও কমবে।
দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ২, চট্টগ্রামে ছিল ২০ দশমিক ৫, সিলেটে ১৯ দশমিক ৫, রাজশাহীতে ১৬ দশমিক ৩, রংপুরে ১৮, খুলনায় ১৯ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একটু দেরি করে শীত আসার কারণ কী? এ প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু জায়গায় আগে শীতের অনুভব হতো। তবে এ বছর মৌসুমি বায়ু কিছুটা দেরি করে এসেছিল, আবার চলে গেছে আরেকটু দেরি করে। তাই শীত আসছেও কিছুটা দেরিতে।