আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌযানকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, ‘বুলবুল’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এখন যেভাবে এগোচ্ছে তাতে করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা এবং বরিশাল উপকূলের দিক দিয়ে আঘাত হানতে পারে। তবে এর গতিবেগ বা শক্তি সিডরের মতো হবে না। বুলবুলের কারণে বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এটি ৯ নভেম্বর রাতে অথবা ১০ নভেম্বর সকালের দিকে উপকূলে আঘাত করতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, শক্তি সামর্থ্য যাই হোক না কেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে খুলনা, বরিশাল উপকূলসহ ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।