‘নায়িকাগুলো আসলে পতিতা’

অনেক দিন ধরেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ভুয়া মহরত’ নামের একটি অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে আসছে। এসব অনুষ্ঠানে যাদের নায়ক-নায়িকা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারাও পরিচিত কেউ নন। যেহেতু ছবিটি আর তৈরিই হয় না, তাই নামসর্বস্ব নায়ক-নায়িকারাও আর দর্শকের সামনে আসতে পারেন না। 

অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর মগবাজারে কিছু রেকর্ডিং স্টুডিওতে অপেশাদার লোকজন প্রতারণার জন্য ছবির মহরত করছে। আর এর সঙ্গে এফডিসির কয়েকজন অসাধু লোকও জড়িত বলে জানা গেছে।   

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সম্প্রতি এ ব্যাপারে গনমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দুদির পরপর দেখি অডিও স্টুডিওগুলোতে ছবির মহরত হচ্ছে, দেখে নিজেরই হাসি পায়। একটা কেক কাটে, পেছনে ব্যানারে লেখা থাকে মহরত। তিন-চারটা নায়িকা নিয়ে মহরত হয়ে যায়। এসব আসলে এক ধরনের প্রতারণা।’

এই কর্মকান্ডকে অসৎ বলে তিনি বলেন, ‘নামেমাত্র প্রযোজকগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে মেয়েগুলোকে ব্যবহার করছে মহরতের নামে। আলু-পেঁয়াজের ব্যবসায়ী দুই-তিন লাখ টাকা দিয়ে নায়ক হয়ে যায়। আর এই নায়িকাগুলো তো আসলে পতিতা। একজন ব্যবসায়ীকে ফুঁসলিয়ে চলচ্চিত্রে নেমে নিজেকে নায়িকা হিসেবে পরিচয় দেয়। তাদের ছবি কিন্তু আলোর মুখ দেখে না।’

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি মনে করি, এইসব ছবির বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। এগুলো অপরাধ, যা প্রকাশ্যে করা হচ্ছে। এসব নায়ক-নায়িকার জন্য আমাদের শিল্পীদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে, চলচ্চিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

‘প্রেমের তাজমহল’ খ্যাত পরিচালক গাজী মাহাবুব বলেন, ‘স্বাধীনভাবে যার ইচ্ছা সেই ছবি নির্মাণ করতে পারে। এতে করে যেমন ভালো কিছু হচ্ছে, তেমনি মগবাজারের মহরতের ছবির মতো খারাপ ছবি বা প্রতারণাও হচ্ছে। আমার মনে হয়, এখনই এসব প্রতিরোধ করা প্রয়োজন।’

Scroll to Top