হলিউডের ঐতিহাসিক ছবি ‘টাইটানিক’-এর নায়ক লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও (৪৪)। এই ছবির মাধ্যমে তিনি পেয়েছেন জগতজোড়া পরিচিতি ও খ্যাতি। আর সেই সুবাদেই তার প্রতি আকৃষ্ট সুন্দরীরা। তবে তার নাগালটা পাওয়া সহজ নয়। তাকে যারা কাছে পান সেইসব সেলিব্রেটিদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে ডিক্যাপ্রিও চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছেন। তার বয়স এখন ৪৪ বছর হলেও তিনি এ যাবত যেসব যুবতী সেলিব্রেটির প্রেমসুধা পান করেছেন তাদের কারো বয়স ২৫ বছরের ওপরে নয়। যাদের সঙ্গে এভাবে চুটিয়ে প্রেম করেছেন বা করছেন তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখেন নি। অল্প কিছুদিন পরেই তার জীবনে নতুন পোশাকের মতো এসেছেন আরেক যুবতী।
এমনি করেই চালিয়ে যাচ্ছেন জীবন। তার বয়সের পার্থক্য ও প্রেমিকাদের বয়সের পার্থক্য নিয়ে ট্রাস্ট লিটল ব্রাডার নামের রেডিট ব্যববহারকারী একটি গ্রাফ প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, ডিক্যাপ্রিওর বয়সের গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। আর তার প্রেমিকাদের বয়সের গ্রাফের সঙ্গে তার গ্রাফের ফারাক বা পার্থক্য ক্রমশ বাড়ছে। অস্কার বিজয়ী ডিক্যাপ্রিওর অতীতের এমন আটটি প্রেম নিয়ে গ্রাফ তৈরি করা হয়েছে।
ডিক্যাপ্রিও যাদের সঙ্গে এমন প্রেম করেছেন তার মধ্যে অন্যতম গিসেলে বান্ডচেন। তার সঙ্গে ১৯৯৯ সালে তিনি চুটিয়ে প্রেম করছিলেন। ওই সময় গিসেলের বয়স ছিল ১৮ বছর। ২০০৪ সালে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার আগে ৫ বছর এ সম্পর্ক টিকে ছিল। ডিক্যাপ্রিও যেসব নারীর সঙ্গে প্রেম করেছেন তাদের মধ্যে মাত্র তিনজনের বয়স ছিল ২৫ বছর। তারা হলেন মডেল বার রেফায়েলি, কেলি রোরবাচ ও নিনা আগদাল। এসব সম্পর্কও চুকেবুকে গেছে। বর্তমানে ডিক্যাপ্রিওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন আর্জেন্টিনার অভিনেত্রী ক্যামিলা মোরোনে। তার বয়স মাত্র ২১ বছর।
ডিক্যাপ্রিওর এ সম্পর্ক নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। তাতে তাকে হলিউডের সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যাচেলর বা অবিবাহিতদের অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার এই ব্যাচেলর জীবনে কোন কোন প্রেমিকা এসেছেন, গেছেন তার ওপর গবেষণা করেছেন রেডিটের ওই ব্যবহারকারী। তাতে দেখা গেছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সী কোনো যুবতীর প্রতি কোনোই আগ্রহ নেই এই নায়কের, এ বয়সটি হলো তার বয়সের প্রায় অর্ধেক। তিনি যেসব যুবতীর সঙ্গে প্রেম করেছেন তাদের গড় বয়স ২২.৯ বছর।
তার শিকারে পরিণত হয়েছেন ইসরাইলি মডেল বার রেফায়েলি। ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল এই সম্পর্ক। মডেল কেলি রোরবাচের সঙ্গে তিনি প্রেম করেছেন ২০১৫ সালে। মডেল নিনা আগডালের সঙ্গে তার প্রেম ভেঙে যায় ২০১৭ সালে। এ ছাড়া তার প্রেম হয়েছিল জার্মান মডেল তোনি গার্নের সঙ্গে। তোনি যখন ২০ বছরের তখন তার সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রেম হয় ডিক্যাপ্রিওর। তা ভেঙে যায় ২০১৪ সালে। তিনি ২০১২ সালে প্রেম করেছেন ভিক্টোরিয়া সিক্রেট মডেল ইরিন হিদারটনের সঙ্গে। ওই সময় ইরিনের বয়স ছিল ২২ বছর।
১৯৯৯ সালে ডিক্যাপ্রিওর বয়স ছিল ২৫ বছর। তখন তিনি যে প্রেমিকার প্রেমে পড়েন তার নাম গিসেলে বান্ডচেন। গিসেলের বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর। ফলে তিনিই ডিক্যাপ্রিওর জীবনে সবচেয়ে কম বয়সী প্রেমিকা। তারা ৫ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০০৫ সালে আলাদা হয়ে যান। পরে ২০০৬ সালে টম ব্রাডির প্রেমে পড়েন গিসেলে। তাকে বিয়ে করেন ২০০৯ সালে। একই রকম ঘটনা ঘটেছে ইসরাইলি সুপারমডেল বার রেফায়েলির। ডিক্যাপ্রিওর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে তিনি ২০১৬ সালে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আদি এজরাকে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
‘দ্য উলফ অন ওয়ালস্ট্রিট’ ছবির নায়ক ডিক্যাপ্রিও প্রেম করেছেন অভিনেত্রী ব্লাক লিভলির সঙ্গে। তাদের প্রেম স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৫ মাস। ডিক্যাপ্রিওর প্রেমিকাদের ওই গ্রাফটি শেষ হয়েছে আর্জেন্টিনার মাত্র ২১ বছর বয়সী মডেল, অভিনেত্রী ক্যামিলা মোরোনে’কে দিয়ে। বর্তমানে তার সঙ্গেই চুটিয়ে অবাধ প্রেমে মেতে আছেন ‘টাইটানিকের’ ডিক্যাপ্রিও।