ঘটনার সূত্রপাত একটি ছবি ও কথাকে ঘিরে। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, চিত্রনায়িকা পপির গালে মেকআপ দিচ্ছেন ড. মাহফুজুর রহমান। এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানের দাবি, ছবিটি পপি ভাইরাল করেছে। আর তাতে লিখেছে, এখন থেকে পপির নতুন মেকআপম্যান মাহফুজুর রহমান। আর তাতেই খেপেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গটি টেনে মাহফুজুর রহমান বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, যার একটি ভিডিও এখন ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব মাধ্যমেই ভাইরাল।
অসমর্থিত সূত্রের ওই ভিডিওতে মাহফুজুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘পপি একটা ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিল, আমি তাকে মেকআপ করে দিচ্ছি। ওই … যে কটুক্তিটা করেছে, ওর এই জিনিসটা করা খুবই জঘন্যতম কাজ হয়েছে। সে লিখেছে, এখন থেকে পপির নতুন মেকআপম্যান মাহফুজুর রহমান। কত জঘন্যতম কাজ করেছে। তারপর থেকে পপিকে এই এরিয়ার মধ্যে আমি ঢুকতে দেই না।’
পপির ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সে এমনও বলেছে, আমি চেয়ারম্যান সাহেবের পা ধরে মাফ চাইবো। পপির মতো একজন শিল্পী আমার পা ধরে মাফ চাইছে। আমি বলেছি আমি তখনই মাফ করবো, এই পা ধরে মাফ চাচ্ছে, এটা আমি টিভিতে দেখাবো। যদি সে এটা দেখায়, তাহলে আমি মাফ করব, নইলে করবো না।’
ভিডিওতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘এই …কে আমি কম ইয়ে করেছি। ও যখন নায়িকা হতে পারে না, আমি ওকে পাঁচটা সিনেমায় নায়িকা বানিয়েছি।’
তবে এ ঘটনার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে চিত্রনায়িকা পপি বলেন, ‘ভিডিওটি আমিও দেখেছি। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়িয়েছে। যে ছবিটির কথা তিনি (ড. মাহফুজ) বলছেন, এটি আমি তুলিনি এবং প্রকাশও করিনি। ভিডিওতে তিনি বলেছেন, আমি নাকি উনার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছি। আমি উনার কাছে কোনো ক্ষমা চাইনি। আর এই ঘটনায় তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আমি কোনো অপরাধ করিনি। তবে কেন তার কাছে ক্ষমা চাইবো।’
এই চিত্রনায়িকা আরও বলেন, ‘উনি (ড. মাহফুজ) আমার বাবার বয়সী একজন মানুষ। উনার কাছ মাফ চাইতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে যা আমি করিনি, তার জন্য কেন মাফ চাইবো।’
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে পপি বলেন, ‘ওদিনের যে ঘটনাটি ছিল, তাদের অনুষ্ঠানের জন্যই আমার মেকআপম্যান আমার মেকআপ করছিল। ওই সময় তিনি আমার মেকআপ রুমে আসেন এবং আমাকে মেকআপ করে দেন। তিনি সম্মানিত ও মুরব্বি মানুষ বলে আমি কিন্তু উনাকে বাধা দেইনি। আমি কিন্তু উনাকে বলতে পারতাম, আপনি কেন আমার মেকআপ করবেন? এবার ছবির কথায় আসি, আমি তো তখন মেকআপ নিয়েই ব্যস্ত। আমি ছবি তুলবো কেমন করে। ওখানে তো আরও অনেকেই ছিলেন। সাংবাদিকসহ তার ইউনিটের লোকজনও ছিল। কে, কীভাবে এই ছবি তুলেছে আর ভাইরাল করেছে তা আমি কীভাবে বলবো। তবে আশ্চর্য লাগছে, উনি কেন এই দোষ আমাকে দিচ্ছেন। উনার মুখের ভাষা শুনে, সত্যি আমি অবাক হয়েছি।’
সবশেষে মাহফুজুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে পপি বলেন, ‘উনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। উনি নারীদের প্রতি সম্মান দিয়ে কথা বলতে শিখবেন, এটাই আমরা আশা করি। যেখানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। নারীদেরকে অবমাননা করে বা খারাপ ভাষায় কথা বলা, এটা আমরা কখনই আশা করি না।’
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে