একদিন আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন বরেণ্য সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সেই দুঃসংবাদের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই এবার গুরুতর অসুস্থ কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটায় আলাউদ্দিন আলীকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে গুণী এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে।
১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার বাঁশবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। বাবা ওস্তাদ জাবেদ আলী অার ছোট চাচা সাদেক আলী ছিলেন তার প্রথম শিক্ষাগুরু। চাচার হাত ধরে আলাউদ্দিন আলী বেহালা চর্চায় মনোযোগী হন কৈশোরে।
১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন। আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। তারপর প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এক পর্যায়ে সঙ্গীত পরিচালনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে জীবনে প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় আলাউদ্দিন আলীর। তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই ও যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৫ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ওঠে তার হাতে।
ভারতের পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। সবমিলিয়ে ৩০০টিরও অধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনি। আলাউদ্দিন আলী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সাতবার, গীতিকার হিসেবে একবারসহ মোট আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।