‘উনাকে ওপার বাংলার শিল্পী বললেই খুব রেগে যেতেন’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কলকাতার বিখ্যাত কৌতুক ও চরিত্রাভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। নায়করাজের সঙ্গে অনেক স্মৃতি তাঁর। কাজ করেছেন স্বপন সাহা পরিচালিত ‘বাবা কেন চাকর’, ‘সন্তান যখন শত্রু’সহ বেশ কিছু ছবিতে।

শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্জাক সাহেব ছিলেন আপাদমস্তক বাঙালি। তাঁকে ওপার বাংলার শিল্পী বললে খুব রেগে যেতেন। বলতেন আমার পরিচয় আমি বাঙালি। আমি শিল্পী। এপারও বাংলা, ওপারও বাংলা।’

মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর থেকেই রাজ্জাককে নিয়ে টুকরো টুকরো স্মৃতি ভিড় করছে শুভাশিসের মনে। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশের এই খ্যাতিমান অভিনেতা ছিলেন একেবারে মাটির মানুষ। তাঁকে বাংলাদেশের “উত্তম কুমার” বলা হতো। এত বড় তারকা হয়েও তাঁকে কখনোই তারকাসুলভ আচরণ করতে দেখিনি। ওনার ব্যবহারে কখনোই তা প্রকাশ পেত না। খুব বড় মনের মানুষ ছিলেন তিনি।’

শুভাশিস তাঁর প্রিয় অভিনেতার থেকে একবার বকাও খেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে তাঁর সঙ্গে মধুর স্মৃতিই বেশি, ‘প্রখ্যাত পরিচালক স্বপন সাহার ছবির মাধ্যমেই টালিউডে পা রাখেন রাজ্জাক সাহেব। টালিউডে তাঁর অভিনীত প্রায় সব ছবিরই পরিচালক স্বপন সাহা। অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং নিয়মমাফিক কাজ করতেন তিনি। শুটিং শুরু হওয়ার আগে নিয়ম করে অনুশীলন করতেন। টালিউডে ওনার পরম বন্ধু ছিলেন বুবুদা অর্থাৎ অভিনেতা সমিত ভঞ্জ। দুজনে রোজ রাসবিহারীর মোড়ে আড্ডা মারতেন। বুবুদা অনেক আগেই চলে গেছেন। কাল আর এক বন্ধুও চলে গেলেন।’

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ২৩ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ