বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ চক্রবর্তী বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাকে সকাল সোয়া ছয়টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রখ্যাত এই সংগীত পরিচালক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন ডা. আশীষ।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার ছেলে সামীর আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাবার মৃতদেহ আফতাবনগরে নিজ বাসায় রাখা হয়েছে। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হবে শহীদ মিনারে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে বুলবুলের হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। পরে তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর বুলবুলকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা বুলবুলের বাইপাস সার্জারি না করে শরীরে রিং পরানোর সিদ্ধান্ত নেন। এর পরে তার শরীরে দুটি স্টেন্ট (রিং) স্থাপন শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি।
১৯৭০-এর দশকের শেষের দিক থেকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগীতে সক্রিয় হন এই বরেণ্য সুরকার। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন তিনি। সেই থেকে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।