দারোয়ানের তাড়া খেয়েছিলেন নায়ক রাজ্জাক

চলচ্চিত্র অঙ্গনের কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পী নায়করাজ রাজ্জাক গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। ১৯৬৬ সালে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকাই ছবিতে দর্শকনন্দিত হন কিংবদন্তি এ অভিনেতা।

গত বছর এক অনুষ্ঠানে নায়করাজ রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘১৯৬৪ সালে ভেবেছি এফডিসিতে ঢুকব। এখানে কাদের দারোয়ানের অনেক তাড়া খেয়েছি। ছোটখাটো অনেক অভিনয় করেছি। ৬৬ সালে এসে নায়ক হয়েছি।’

নায়করাজ ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়সে কলকাতায় মঞ্চ নাটকে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে ১৯৬৪ সালে দাঙ্গার সময় ঢাকায় চলে আসেন পরিবারের সঙ্গে। প্রথমদিকে, রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন।

নায়করাজ রাজ্জাক প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয় করে। পাঁচবার তিনি জাতীয় সম্মাননা পান। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার পেয়েছেন অসংখ্যবার।

বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রে খুব কমই অভিনয় করছেন নায়করাজ রাজ্জাক। শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও বেশ সফল। ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেন রাজ্জাক। নায়ক হিসেবে নায়করাজ প্রথম অভিনয় করেন জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ ছবিতে। এতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুচন্দা।

‘অবুঝ মন’, ‘আলোর মিছিল’ ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘রংবাজ’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেওয়া’ ‘পিচঢালা পথ’, ‘অশিক্ষিত’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’সহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করা রাজ্জাক সর্বশেষ অভিনয় করেছেন ছেলে বাপ্পারাজ পরিচালিত ‘কার্তুজ’ ছবিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম