২০১৫ সালে মুক্তি পায় বলিউড সিনেমা ‘এমএসজি: দ্য মেসেঞ্জার’। তার পর ‘এমএসজি-২: দ্য মেসেঞ্জার’। ২০১৬ সালে এমএসজি-রই সিকুয়েল ‘এমএসজি: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’। প্রতিটি ছবিই পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ভারতের বিতর্কিত বাবা রাম রহিম এবং হানিপ্রীত। ছবির চিত্রনাট্যও ‘বাবা’রই লেখা। ছবির গীতিকার, সুরকার, পোশাক ডিজাইনারও তিনিই। ছবির প্রধান চরিত্রেও অভিনয় করেছেন রাম রহিম নিজেই।
বাবা রাম রহিমের ছবির পোস্টারও ছিল নজরকাড়া। সবচেয়ে বড় ১৫,১২৩.৮ বর্গমিটারের পোস্টারের জন্য ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর গিনেস রেকর্ডে নাম ওঠে গুরমিত রাম রহিম এবং তাঁর হাকিকৎ এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের। ‘এমএসজি: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’ ছবির জন্য ওই পোস্টার বানানো হয়েছিল।
ঝলমলে ছবির প্রমোশনেও এক নম্বর বাবা রাম রহিম।
ছ’মিনিট ধরে প্রায় দেড় লক্ষ প্রদীপ জ্বেলে লায়ন হার্ট ছবির প্রমোশন শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছে ছবির একটি গান শুনতে না কি জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত।
‘এমএসজি-২: দ্য মেসেঞ্জার’ ছবির প্রমোশনে তৈরি হয়েছিল ৭৬.৩ ফুট বাই ৫৬.৩ ফুটের বিশাল মোজাইক গ্রিটিংস কার্ড। প্রায় ১৯ হাজার গ্রিটিংস কার্ড বিলি করা হয়েছিল ভক্তদের মধ্যে। ‘এমএসজি’-র প্রিমিয়ারে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় দেড় লক্ষ ভক্ত।
প্রতিটি ছবির পোশাক ডিজাইনও করছেন স্বয়ং রাম রহিম। ছবিতে নিজের চরিত্রের জন্য ৫৬ রকম শৌখিন পোশাক ডিজাইন করেন তিনি। এমনকী ছবিতে গানের লেখক, সুরকার এবং গীতিকারও তিনি নিজেই।
বাবা শুধু গানেই ‘তুখোর’ নন, গানের সঙ্গে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় কোমর দোলানোতেও সমান ‘পারদর্শী’। ‘এমএসজি-২: দ্য মেসেঞ্জার’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘পার্টি ধুম ধাম সে’-তে বাবার সঙ্গে তালে তালে পা মিলিয়েছিলেন প্রায় ৩ লক্ষ ডান্সার।
এমএসজি-২ ছবির প্রচারে প্রায় ৩ লক্ষ ভক্তদের মধ্যে রিস্ট ব্যান্ড বিলি করা হয়েছিল। সেই ব্যান্ড পড়ে ছবির প্রমোশনে বাবাকে এক সঙ্গে স্যালুট জানিয়েছিলেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে