ধর্ষক সাধু রাম রহিমের উত্তরসূরি যে হবেন?

ভারতের বহুল আলোচিত স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ডেরা সাচা সৌদার নতুন দাবিদার হতে চলেছেন তার দত্তক কন্যা হানিপ্রীত ইনসান।

ডেরায় বাবার ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। ডেরা ভক্তরা তাকে চেনে ‘পাপাস অ্যাঞ্জেল’ বলে। রাম রহিমের তিন মেয়ের মধ্যে অন্যতম হানিপ্রীতই এখন বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হওয়ার অন্যতম দাবিদার বলে মনে করা হচ্ছে।

হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়াঙ্কা তানেজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফেসবুকে তার ভক্তের সংখ্যা পাঁচ লাখের কম নয়। ভক্তদের অনেকে মনে করেন, তার সিদ্ধান্তই ‘বাবার’ সিদ্ধান্ত।

হানিপ্রীত রাম রহিমের পালিত কন্যা হলেও তার সবচেয়ে কাছের ও আদরের তিনি। সে কারণেই নাকি খুব অল্প সময়েই তার উত্থান। হিসারের ফতেহবাদের এক সাধারণ ঘরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা। ১৯৯৯ সালে সিরসার এক ডেরা ভক্ত বিশ্বাস গুপ্তের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই সময় থেকেই রাম রহিমের সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। প্রিয়াঙ্কা থেকে তিনি পরিচিত হন হানিপ্রীত নামে।

ডেরা অনুগামীরা দাবি করেন, ‘বাবা রাম রহিমের কাছে শ্বশুরবাড়ির পণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন হানিপ্রীত। তারপরই ২০০৯ সালে হানিকে দত্তক নেন রাম রহিম। তখন থেকেই বাবার ছায়াসঙ্গী হানি।

রাম রহিমের ছায়াসঙ্গী ছাড়াও হানির অন্য একটা পরিচয় আছে। ডেরা অনুগামীদের দাবি, হানি নাকি খুব প্রতিভাবান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনও কিছু রপ্ত করে নিতে সিদ্ধহস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় হানি নিজেকে সমাজসেবী, নির্দেশক, পরিচালক এবং অভিনেত্রী হিসাবেও দাবি করেন। মেয়ের গুণ দেখে ‘বাবা’ আপ্লুত হয়েছিলেন।

ডেরার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রাম রহিম যখন হানিকে নির্দেশনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছিলেন, তখনই সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে তার একটি সিনেমা পরিচালনার কাজ দেবেন। ‘মেসেঞ্জার অব গড: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’ ছবিতে পরিচালনার কাজ করেন হানিপ্রীত। ২০১৫ সালে ওই ছবিতে পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন হানি।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাম রহিমকে যখন গ্রেপ্তার করে রোহতকে নিয়ে যাওয়া হয়, সে সময়ও হানিকে তার পাশেই দেখা যায়। ডেরার উত্তরসূরি নিয়েই তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৯ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ