বিনোদন জগতে হঠাৎ আলোচনায় আসা নামটি রোজা আহমেদ। তার নামটি যুক্ত হয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের নামের সঙ্গে। তাদের দুজনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিয়ের খবর ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু তাহসান জানিয়েছেন, এখনো বিয়ে না করলেও বিয়ে হবে তাদের। রোজা একজন আন্তর্জাতিক মেকআপ আর্টিস্ট।
তাহসানের হবু স্ত্রীর ফেসবুক পেইজে দেখা গেছে একাধিক নজর কাড়া ছবি। বিভিন্ন পোজে ছবি পোস্ট করেছেন রোজা। বর্তমানে তা ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।
এদিকে, কনের সঙ্গে ফেসবুকে প্রথম ছবি পোস্ট করলেন গায়ক এবং অভিনেতা তাহসান খান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটের পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ছবিতে হালকা গহনার সঙ্গে শাড়ি পরেছেন কনে রোজা আহমেদ। ম্যাচিং করা পাঞ্জাবি পরেছেন তাহসান। দুজনের মুখের হাসি বলে দিচ্ছে, সময়টা দারুণ কাটছে তাদের।
ছবির ক্যাপশনে তাহসান গানের চারটি লাইন যুক্ত করে দিয়েছেন-
‘কোনো এক ছুটির দিনে যখন আমি পিয়ানোতে
আমার সুরে নাচের মুদ্রায়, সেই তুমি কে?
যার ছন্দের মুগ্ধতায় কেটে যাবে বাকিটা জীবন
ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে, সেই তুমি কে?’
বরিশালের মেয়ে রোজা আহমেদ। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, বরিশাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার গল্পটা সহজ ছিল না। তার শৈশব কেটেছে বরিশালেই।
উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করেন এবং নিউ ইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার‘। এটি এখন ব্রাইডাল মেকআপ শিল্পের অন্যতম সফল একটি প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রোজা বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি একজন প্রশিক্ষক হিসেবে নারীদের কসমেটোলজিতে দক্ষ করে তুলছেন এবং তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রেরণা দিচ্ছেন। তার ফেসবুক পেজ ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’–এ নয় লাখেরও বেশি অনুসারী রয়েছে।
রোজা একজন সফল উদ্যোক্তা হলেও তার ব্যক্তিগত জীবন অত্যন্ত সাদামাটা। তিনি ঘোরাঘুরি ভালোবাসেন এবং দেশে থাকতে সাজেক, নাফাখুম, রাঙামাটি ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি রান্নায়ও পারদর্শী। চুইঝাল থেকে শুরু করে কাঁকড়ার মতো নানা পদের খাবার তৈরি করেন।
এদিকে রোজার সঙ্গে তাহসানের ছবি ভাইরাল হলে সংবাদমাধ্যমে তাহসান বলেন, অন্তর্জালে ভাইরাল ছবিগুলো একটি ঘরোয়া আয়োজনে তোলা। এখনও বিয়ে হয়নি। বিয়ের কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি।