ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন রাজ, আবারও সম্পর্কের গুঞ্জন রাজ-পরীর

ভালোবেসে শরিফুল রাজকে বিয়ে করেন পরীমণি। শুরুতে তুমুল ভালোবাসা প্রকাশ পেলেও সেই বিয়ে রুপ নেয় বিচ্ছেদে। তারকাজুটির একমাত্র ছেলে শাহীম মুহাম্মদ পুণ্যকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন অভিনেত্রী। বাবার সঙ্গে খুব একটা দেখা যায় না ছেলের। সম্প্রতি বাবা রাজের সঙ্গে দেখা গেছে ছেলে পুণ্য। রাজ নিজেই ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন বাবা-ছেলের খুনসুটি।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন এই তারকা জুটি। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুণ্য।

এর এক বছর পরই বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন রাজ-পরী দম্পতি। সংসার ভাঙনের পর সন্তানকে নিজের কাছেই রেখে দেন পরীমণি। ছেলের সকল দেখভালের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে রাজ ব্যস্ত হয়ে পড়েন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।

বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে পরী জানিয়েছেন, বাবা হিসেবে সন্তানের প্রতি কোনো দায়িত্বই পালন করেননি শরিফুল রাজ। সবটা তার নিজেরই সামলাতে হয়েছে।

বিশেষ কোনো দিনেও পূণ্যের পাশে দেখা মেলেনি বাবা রাজের। যেসব ঘটনা নিয়ে আক্ষেপও শোনা গেছে পরীর কণ্ঠে। একইসঙ্গে ক্ষোভও ছিল প্রাক্তন স্বামীর প্রতি।

তবে সম্প্রতি এক ভিডিওতে বাবা শরিফুল রাজের সঙ্গে দেখা মিলল পূণ্যের। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসে খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা যায় বাবা-সন্তানকে।

সেই মুহূর্তের ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন শরিফুল রাজ। লিখেছেন, ‘আমার ছেলের প্রতি আমি কিভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি! পৃথিবীর কাছে আপনি একজন মানুষ হতে পারেন, কিন্তু একজনের কাছে আপনি হয়তো পৃথিবী। তোমাকে ভালোবাসি আমার চ্যাম্প।’

সেই ক্যাপশনে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানান শরিফুল রাজ।

এদিকে রাজের সঙ্গে পূণ্যকে দেখে নেটিজেনরা পরীমণিকে খুঁজ ফিরছেন। অনেকেই বলছেন, তাহলে কি আবারও সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে রাজ-পরীর?

এমন প্রশ্নের কারণও অবশ্য রয়েছে। কারণ বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে রাজের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীমণি। এমনকি সবশেষ গেল সেপ্টেম্বরে নিজের প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের এক বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন তিনি।

সেখানে রাজের সঙ্গে পরীর ছেলেকে ঘুরে বেড়াতে দেখে অন্তর্জালে বিভিন্ন গুঞ্জন, প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, হয়তো সন্তানের টানে বরফ গলছে রাজ-পরীর।

তবে বিষয়টি নিয়ে পরীমণির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। দুজনই এখন দুই জগতের বাসিন্দা। মন দিয়েছেন নিজেদের কাজে।

Scroll to Top