‘বরাবর নিজের কাজ নিজেই জোগাড় করে এসেছি। কোনো দিন তথাকথিত ‘সুগার ড্যাডি’ নেই। ভালোবাসার মানুষজনেরও বড়ই অভাব। সব মিলিয়ে নিজেই নিজের হর্তাকর্তা-বিধাতা। ফলে, যা-ই ঘটুক ঠিক চালিয়ে নেব।’ আনন্দবাজারে লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডে সরকারের বিরোধিতা করায় তাঁকে দিয়ে কোনো কাজ করানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজারে এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘দু-দুটো বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছিলেন এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির যিনি প্রতিনিধি, তিনি আমাকে পছন্দ করেন। চেয়েছিলেন, কাজটা আমিই করি। কিন্তু তাঁরও তো কোথাও বাধা রয়েছে। বললেন, “দিদি, আরজি কর-কাণ্ডে তোমার বক্তব্য তোমার বিরুদ্ধে গেছে। তুমি সরকারের বিরোধিতা করেছ। তোমাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে।” দুটো কাজ থেকেই ভালো অঙ্কের পারিশ্রমিক পেতাম।’
কাজ বেহাত হলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি বিচলিত নন বলে জানান শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমি আর এ ধরনের ঘটনায় বিচলিত হই না। কোনোকালেই মধু মাখিয়ে কথা বলতে পারি না। বাকিরা যতটা না মনের গভীর থেকে মৃতা চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন, আমার চাওয়া ছিল আরও গভীর।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ভয় না পাওয়ার আরও একটা কারণ, আমার মাথার ওপর কোনো দায় নেই। ঋণের বোঝা নেই। প্রচুর চাহিদা নেই। দামি গাড়ি, দামি বাড়ি, দামি পোশাকের বিলাসিতা নেই। ফলে, প্রচুর অর্থের প্রয়োজনও নেই। একইভাবে, যতটা সম্ভব সৎ থেকে কাজ করা যায় ততটাই সৎ আমি। একমাত্র দেয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে মিথ্যা কথা বলি না। বললেও এমন মিথ্যা বলি না, যা অপরের ক্ষতি করবে।’