শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
অবিলম্বে সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আটক নিরীহ ছাত্র জনতার মুক্তিসহ সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম।
এতে বলা হয়েছে, ‘এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার, গুমসহ সব নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং হত্যা ও নাশকতার সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের সাথে জড়িতদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদান করা উচিত বলেও আমরা মনে করি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রসমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম সবসময় স্মরণ করে। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনকে সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই মনে করে। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম ছাত্র-জনতার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের সঙ্গেই সবসময়ই ছিল এবং আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের অন্যতম ঘোষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাম্রাজ্যবাদ এবং স্বৈরতন্ত্রসহ সকল শোষণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা এবং সকল স্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করা।
বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আরও জানায়, বাংলাদেশের অন্যতম প্রগতিশীল গণমুখী সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা একটি ভয়মুক্ত, মুক্তচিন্তার আবহে শিল্প আন্দোলন করতে চাই। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম মনে করে, বলপ্রয়োগ কিংবা দমন-নিপীড়ন সঙ্কটকে জটিল করবে তাই, উদ্ভুত সঙ্কট রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে।
বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম এ বিবৃতিতে সই করেন।