হঠাৎ করে আবারো আলেচনায় চিত্রনায়ক শাকিব খান, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্ব আবারো প্রকাশ্যে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তাদের দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে। একে অপরকে নিয়ে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক মন্তব্য করার মধ্যে যেন মেতে আছেন তারা। কখনো ইঙ্গিতে, কখনো সরাসরি।
গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিজের ‘স্বামী’ বলে সম্বোধন করেন বুবলী। আর সেই সাক্ষাৎকার ফেসবুকে পোস্ট করে খোঁচা দেন অপু বিশ্বাস। এতে আবারো নতুন করে প্রকাশ্যে আসে দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব।
সাক্ষাৎকারে প্রযোজক ইকবালের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হওয়ার পেছনে শাকিব খানকে নিয়ে নির্মাতার বাজে মন্তব্যের বিষয় তুলে ধরে বুবলী বলেন, ‘আমার পরিবার বলেন, সহশিল্পী বলেন, স্বামী বলেন এবং সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে আমার সন্তানের বাবা বলেন-তাকে নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি অসম্মানজনক কোনো মন্তব্য করেন, আমি অবশ্যই সে ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলব।’
বুবলীর এই মন্তব্য নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে ‘আমার স্বামীকে কেউ অসম্মানজনক কথা বললে তাকে এড়িয়ে চলব’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সেই প্রতিবেদনের ফটোকার্ড শনিবার বিকেলে নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার দিয়ে হাসিতে ফেটে পড়া বেশ কিছু ইমোজি দিয়ে অপু বিশ্বাস খোঁচা দিয়ে লিখেন, ‘ভুল করে পেজে শেয়ার হয়েছিল। এটা আমার পেজের জন্য উপযোগী না। পেজ একটিভ ছিল, খেয়ালই করতে পারিনি।’
এছাড়া গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন,
নিজে ছবি থেকে বাদ পড়ে শাকিবকে দেয়াল হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন তিনি। দুর্বল “গেম প্ল্যান”। ছবি থেকে বাদ না পড়লে শাকিবের প্রতি দরদ দেখানো এমন কোনো বাক্য ব্যবহার করতেন না। আসলে সবখানে শাকিব খানের নাম মুখে নিয়ে উনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন।
অপুর এমন মন্তব্যের জবাবে বুবলী মঙ্গলবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে বলেন, ‘শাকিব খান আমার পরিবার। তার নাম আমি সব সময় নিয়েছি এবং সারা জীবন নেব। পরিবারের মানুষের নাম নিতে কেউ কখনো ক্লান্ত হয় না। যাদের স্বার্থ থাকে, তারা ক্লান্ত হয়।’
তিনি আরও বলেন,
যে মহিলা এসব বলছে, সে কে? যিনি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো সব সময় আমাদের মাঝখানে তিড়িংবিড়িং করেন। নিজের মতো বানানো নানা মিথ্যা রচনা বলেন সারাক্ষণ। সবচেয়ে হাস্যকর কথা হলো, উনি তার নিশ্বাসের থেকেও বুবলী নামটা বেশি নেন। আমি আর আমার ছেলে এখন তার একমাত্র ক্যারিয়ার আলোচনায় থাকার। এমনকি জাতীয় টেলিভিশন পর্দায় কী সব উদাহরণ দিচ্ছেন, যার কোনো মানেই নেই! তার সঙ্গে কী কী নোংরা আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করছে, যেটা খুব লজ্জাজনক। সব সময় তার মুখে দুর্গন্ধজনক শব্দগুলো থাকে, তার কারণ তার ভেতরটাও এ রকম।