ছবির বিষয়বস্তু যাই হোক, প্রেম আর শরীর না থাকলে অর্ধেক হিন্দি সিনেমাই অসম্পূর্ণ৷ নারী শরীরের হিল্লোল পর্দায় না দেখালে পয়সা উশুল হয় না৷ কখনও কখনও এই সিনগুলো এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, তাতে সেন্সর বোর্ডের কাঁচি চলে৷ আর যদি সেই কাঁচির হাত থেকে কোনোক্রমে সিনগুলো বেঁচে যায়, তাহলে তো কথাই নেই৷ ইন্টারনেটে টর্নেডো বইয়ে দেয় প্রতিটি ফ্রেম৷
১) মিঠুন চক্রবর্তী ও সুস্মিতা সেন : চিঙ্গারি
ছবির প্লট ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ছবিতে মিঠুন এক সাধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন৷ সুস্মিতা হয়েছিলেন এক বারবণিতা৷ রোজ রাতে এই বারবণিতার ঘরে রাত কাটাতেন সেই সাধু৷ ছবি বক্স অফিসে অসাধারণ কিছু সাফল্য পায়নি৷ কিন্তু সুস্মিতা ও মিঠুনের প্রেমপর্বের দৃশ্যগুলি প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিল৷ মিঠুনের অভিনয়ও ছিল অদ্বিতীয়৷ সুস্মিতাকে ভোগ করার দৃশ্যগুলিতে তিনি নিজেকে নৃশংস হিসেবে প্রতিপন্ন করতে সমর্থ হয়েছিলেন৷
২) শাহরুখ খান ও দীপা শাহি : মায়া মেমসাহাব
শরীরী চাহিদা মানুষের মৌলিক প্রয়োজনের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু এই চাহিদা কতদূর পৌঁছতে পারে, তার একটি প্রতিচ্ছ্ববি দেখিয়েছে মায়া মেমসাহাব৷ ছবিতে দীপা শাহি ও শাহরুখ খানের অতিরিক্ত রোম্যান্টিক সিনগুলি (অবশ্যই আনসেন্সরড) নিয়ে তখন খুব চর্চা চলেছিল৷ চর্চা এখনও চলে৷ নিয়ন আলোয় লাভ-মেকিং সিন কী হতে পারে, দেখিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ-দীপা৷
৩) সঞ্জয় কাপুর ও নেহা ধুপিয়া : জুলি
গাড়িতে প্রেম৷ এতে আলাদা উত্তেজনা আছে৷ নাহলে কি আর গোটা ম্যানসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও নেহা ধুপিয়া আর সঞ্জয় কাপুর কখনও গাড়ির মধ্যে লাভ মেকিং সিন করে? জুলির সেই সিনটা থেকেই পালটে যায় সিনেমার প্লট৷ আর প্রেমিকার সারা গায়ে “ভালোবাসি” লেখা? সেও কি প্রেমেরই নিদর্শন?
৪) রেখা ও অক্ষয় কুমার : খিলাড়িওঁ কা খিলাড়ি
প্রেমের কোনও বয়স থাকে না৷ প্রমাণ করেছিলেন অক্ষয় কুমার আর রেখা৷ অসমবয়সের সেক্স কী হতে পারে, তার একঝলক দেখিয়েছিলেন৷ তার সঙ্গে দেখিয়েছিলেন সেক্সের ক্ষেত্রে চকোলেটের কী অসাধারণ মহিমা৷ সূত্র-কলকাতা২৪
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে