শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই দানা বেঁধেছিল রহস্য। বলিউড অভিনেত্রীর এই অকাল প্রয়াণ কি নিছকই আকস্মিক মৃত্যু, না কি খুন হয়েছিলেন তিনি? আর শ্রীদেবী যদি খুনই হয়ে থাকেন, তাহলে এর নেপথ্যে কে? বছর ছয়েক ধরেই এমন নানা প্রশ্ন নাড়া দিয়েছে ভক্তদের মনে। এবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের জাল চিঠি দেখিয়ে শ্রীদেবীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলেছেন ভুবনেশ্বরের এক ইউটিউবার। নাম দীপ্তি আর পিন্নতি।
তিনি দাবি করেছিলেন যে, শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনাকে ভারত সরকার ও আরব আমিরশাহী সরকারের পক্ষ থেকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। নিজের যুক্তি প্রমাণিত করতে মোদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদিত বিভিন্ন তথ্য ও চিঠি দেখিয়েছিলেন দীপ্তি। যা কি না পরে ভুয়া বলেই প্রমাণিত হয়।
এরপর গত বছর ওই নারী ইউটিউবার ও তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে মামলা দায়ের হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, দীপ্তি নামে ওই ইউটিউবার নিজের কাছে শ্রীদেবীর মৃত্যুর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সুপ্রিম কোর্ট ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকারের ভুয়া নথিপত্র পেশ করেছিলেন।
এর আগে, ওই ইউটিউবারের ভুবনেশ্বরের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে একাধিক ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা। জানা গেছে, দীপ্তি নামে ওই ইউটিউবার যেসব নথিপত্র দেখিয়েছেন, সেগুলো সবই ভুয়া। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৫, ৪৬৯ এবং ৪৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মামলা দায়ের হয়েছে দীপ্তির বিরুদ্ধে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে সপরিবারে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মোহিত মারওয়ারের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। সেখানেই বিলাসবহুল হোটেলের বাথটবে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর। ফরেনসিক রিপোর্টে অন্তত এমন খবরই প্রকাশ পেয়েছে। তবে, হিসাব মেলাতে পারেননি অনেকেই।
দাবি করেছিলেন, ঠান্ডা মাথায় ছক কষে খুন করা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। রহস্যের গন্ধ পেয়ে মামলা দায়ের হয়। তারপর থেকেই শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কিন্তু তদন্তে কোনোরকম গলদ না পেয়ে মামলা শেষ করে দেয় পুলিশ। এমনকি, ভারতের শীর্ষ আদালতের তরফেও খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল সেই মামলা। তবে এবার শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করার নামে ভুয়া তথ্য পেশ করায় আইনি বিপাকে ওই ইউটিউবার।