শিরোনামের কথাটি জাজ মাল্টিমিডিয়ার। দেশের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি আশঙ্কা প্রকাশ করছে— ঢালিউডে চলমান অবস্থার পরিবর্তন না ঘটলে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে কোন সিনেমাই মুক্তি পাবে না! আবার এটাও বলছে, বছরের প্রথমার্ধে ৩-৪টি সিনেমা মুক্তি পেতে পারে।
শনিবার সকালে জাজের অফিসিয়াল ফেসবুকের টাইমলাইনে ‘কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র?’ শিরোনামের পোস্টে লেখা হয়—
‘বর্তমানে সর্বকালের সবচেয়ে বাজে সময় যাচ্ছে চলচ্চিত্রের। গত ঈদের সময় আন্দোলন এবং মধুমিতা সিনেমা হল মালিক ও সেন্সর বোর্ড সদস্য নওশাদ সাহেবের উপর হামলা, সবকিছু মিলেই এখন বাহিরের চলচ্চিত্র লগ্নিকারকরা সিনেমামুখী হচ্ছে না, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে। আর পুরাতন কোন প্রযোজক তো সিনেমা বানায় না।
এর ফলশ্রুতিতে, নতুন কোন নতুন সিনেমা হচ্ছে না এমনকি পুরাতন যে সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল তা আর বেশিরভাগই হচ্ছে না।
পরিপ্রেক্ষিতে, চলচ্চিত্র (content) সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে, বাংলাদেশের বন্ধ প্রায় হলগুলো। ভালো বড় সিনেমা তো দুরের কথা, করিমন সরিমন টাইপ সিনেমাও থাকবে না আগামী জানুয়ারি থেকে। তাহলে হলে কী চলবে? হলগুলো বাঁচবে কী দিয়ে?
বাংলাদেশে সিনেমা মুক্তির দুইটি চ্যানেল আছে। এর জন্য বছরে দরকার ৮৮টি সিনেমা। হলকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কমপক্ষে ৬০টি সিনেমা দরকার বছরে। কিন্তু আগামী জানুয়ারি থেকে কোন সিনেমাই থাকবে না। আর আগামী জানুয়ারি থেকে ঈদ পর্যন্ত ৩-৪টি সিনেমা হবে হয়তো।
তাহলে, কি হবে? ডিসেম্বার থেকে হল বন্ধ হওয়া শুরু হবে। আর আগামী ঈদের আগেই অনেক হল বন্ধ হয়ে যাবে। আর আগেও বলেছি, যদি আর মাত্র ৫০টি হল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আর বাংলাদেশে কারো পক্ষে সিনেমা বানানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের অশনি সংকেত অতি সন্নিকটে। আর মাত্র কিছুদিন।’
‘ভালোবাসার রং’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১৩ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার অভিষেক হয় ঢালিউডে। প্রযোজনার পাশাপাশি ডিজিটাল প্রজেকশন সেবাও দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
সর্বশেষ দুই বছরে অভিযোগ উঠেছে যৌথ প্রযোজনার নামে ভারতীয় সিনেমা বাজারজাত করছে জাজ। একে ‘যৌথ প্রতারণা’ আখ্যা দিয়েও আন্দোলন হয় ঈদুল ফিতরের আগে। সে সূত্রে সম্প্রতি নতুন নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত যৌথ প্রযোজনা স্থগিত করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ফলশ্রুতিতে যৌথ প্রযোজনার নতুন সিনেমায় হাত দিতে পারছে না জাজ।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৮ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ