অভিনেতা শরিফুল রাজ ও অভিনেত্রী পরীমনির সম্পর্ক ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। তাদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা কী? প্রশ্নটি সবার। কারণ কেননা রাজ মিলে যাওয়ার খবর দিলে পরক্ষণেই পরীমনি দেন ভাঙনের খবর। সবচেয়ে সাম্প্রতিক তথ্য, এক হয়েছেন রাজ-পরী।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাজ। তিনি বলেন, ‘আমি ও পরীমনি ঠিকঠাক আছি। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ওর জ্বর হয়েছিল। এখন সুস্থ আছে। আমরা বর্তমানে বসুন্ধরার বাসাতেই একসঙ্গে রয়েছি।’
এ সময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার যা ঘটেনি তাই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। এসব শুনে-দেখে আমি কষ্ট পাচ্ছি। আমার ও পরীর মধ্যে কিছু ঘটলে যখনই ঠিক করতে যাই, তখনই কোনো না কোনো সমস্যা তৈরি করা হয়। আমি এসব নিয়ে খুবই বিরক্ত।’
রাজের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে পরীমনি এর আগে বলেছিলেন, ‘ছেলের বাবা ছেলের কাছে ফিরে এসেছে। সবাই আমার রাজ্যর জন্য দোয়া করবেন। ওর মুখের হাসির জন্য আমাদের সব ভুলে যাওয়া।’
দাম্পত্য কলহের কারণে গত তিন মাস ধরে আলাদা ছিলেন রাজ ও পরীমনি। ১০ আগস্ট, দম্পতির শিশু রাজ্যের প্রথম জন্মদিনের উদযাপন শহরের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু রাজকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আগের দিন রাতে তিনি তার ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেদিন রাজ বাসায় গেলে পরীমনি পাশের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এমনকি রাজার মুখের দিকে তাকাতেও তিনি অনীহা প্রকাশ করলেন।…
এদিকে গত সপ্তাহে গান বাংলা চ্যানেলের দুই কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী দম্পতি তাদের কার্যালয়ে রাজ-পরীর ছেলে রাজ্যর জন্মদিন উদযাপন করতে কেক কাটেন। সেখানে রাজ ও পরীর দেখা হয় এবং ছবি বিনিময় হয়। অনেক লোক এই দম্পতিকে সুখী পুনর্মিলন কামনা করেছেন এবং ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
কিন্তু একদিন পর রাজ ও পরীমনিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। রাজ মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, পরীমনির জ্বর হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তির গুজবও ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রাজ অবশ্য দাবি করেছেন যে এসব খবর ভিত্তিহীন।
