‘নারী আসলে কিসে আটকায়? একটি প্রশ্ন যা কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। একটি জিনিস যা প্রত্যেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে তা হল যখন ধনী, শক্তিশালী, সুদর্শন বা সুদর্শন পুরুষরা তাদের অংশীদারদের ভালবাসা এবং পারিবারিক জীবন বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। বিনোদন জগতের সেলিব্রিটিরা সাধারণ মানুষের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কে যোগ দেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতা, বিশ্বের সেরা ধনী বিল গেটসের অর্থ, ফুটবলার হাকিমির জনপ্রিয়তা, প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ভালোবাসা, সংগীতশিল্পী জনপ্রিয় তাহসানের কণ্ঠ কিংবা বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনের স্মার্টনেস-কোনো কিছুই নারীকে আটকাতে পারেনি। এদের প্রত্যেক্যের সঙ্গে তাদের জীবন সঙ্গিনীদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। তাহলে ‘নারী কিসে আটকায়? এ প্রশ্নের সূত্রপাত হয়েছে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা থেকে।
সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ও সোফি গ্রেগরি। দুজনের সম্মতিতেই ১৮ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন তারা। এ ঘোষণার পর থেকে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিষয়টি নিয়ে কেউ করছেন ইতিবাচক মন্তব্য, কেউবা নেতিবাচক। কেউ ঠাট্টায় উড়িয়ে দিচ্ছেন, কেউবা হচ্ছেন বিরক্ত। নেটিজেন সঙ্গে এ প্রসঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারকাও।
এই পরিস্থিতিতে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। তিনি লিখেছেন, “আমি বুঝতে পারছি না, ট্রুডো-সোফির সাথে কোনও সমস্যা নেই,” বিরক্তির ইঙ্গিত দিয়ে। আমরা কেন মারা যাচ্ছি?’ মাহির অনুসারীরা তার প্রতিক্রিয়ার সাথে একমত হতে দেখা গেছে।
ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারজানা আহসান মিহি বিষয়টি নিয়ে আরও এককাঠি সরস! এ বিষয়ে ফেসবুকজুড়ে দুই লাইনের একটি লেখা প্রায় অনেকের ওয়ালে দেখা যাচ্ছে। আর সেটিই শেয়ার দিয়েছেন এ অভিনেত্রী। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘নারী বেহেশতেই আটকায় নাই, গন্দম খাইয়া বের হয়ে গেছে। আর দুনিয়ায় কিসে আটকায় তা জিগাইতাছেন? পারেনও আপনারা।’