লাইভে উষ্ণতা ছড়ালেন বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরা বিউটি কন্যা মিতু! (ভিডিও)

ফাতেমা তুজ জাহারা মিতু। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৭ প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ তিনি। বিউটি কনটেস্টে রানার আপ হলেও মিতু পেশায় মূলত ফ্যাশন ডিজাইনার। ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও সকল সময় মিডিয়ার প্রতি কেমন যেন এক ভালোলাগা কাজ করতো মিতুর মধ্যে।

সময়নিউজ.টিভির লাইভ অনুষ্ঠান তারুণ্যের সময়ে অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন মিতু। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সাব্বির সামি মুহিতের কথা বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন তিনি। দর্শকদের অনুরোধে গান করেও তিনি বলে যান পুরাদস্তুর সংগীত শিল্পী এবং সকলের ভালোবাসা অর্জন করেন। তিনি কথা বলেন তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে গিয়ে যে সম্মান তিনি বয়ে এনেছেন সে বিষয়ে, মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতায় তার অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে। কথা হয় বিভিন্ন স্ক্যাল্ডাল নিয়েও। পুরো একঘণ্টার বেশী সময় উষ্ণতা ছড়িয়ে দর্শকদের ধরে রাখেন তিনি।

সর্বপ্রথম ২০১২-\’বিজিএমইএ ইয়োলো ফ্যাশন ফেস্টে\’ অংশ নিয়েই হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন। আর এখান থেকেই মিডিয়ার প্রতি আরো বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন জাহারা। সামরিক কর্মকর্তা বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন রাজবাড়ীর পাংশার মেয়ে মিতু।

চট্টগ্রামে কমার্স কলেজে ইন্টার পড়ার সময় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। খুলনায় রোটারি স্কুলে থাকা অবস্থায় সামাজিক কার্যক্রম শুরু হয় তার। চার বোন এক ভাইয়ের মধ্যে জাহারা সবার বড়। বাবা রাহমান রাসেল নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মা ফরিদা রাহমান গৃহিণী। পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে বসবাস ঢাকায়।
\"\"
এরপর তিনি \’সুপার মডেল বাংলাদেশ-২০১৭\’-তে অংশ নিয়ে হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের পতাকা হাতে গিয়েছিলেন মূল \’সুপার মডেল ইন্টারন্যাশনাল-২০১৭\’ মঞ্চে। সেখানেও প্রাপ্তি একেবারে কম নয়। হয়েছিলেন ফাইনালিস্ট।

এবার আবারো সুযোগ আসে মিস কসমোপলিটন ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণের। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে সেখানে অংশ নিতে পারেননি মিডিয়া অলরাউন্ডার মিতু।

মিষ্টি মেয়ে মিতুর মিডিয়ার প্রতি দুর্বার আকর্ষণ বোধ করলেও পড়ালেখার প্রতিও ছিলেন দুর্দান্ত সিরিয়ায়। ক্লাস ওয়ান থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত কখনো দ্বিতীয় হননি। ২০০৭ সালে এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় পেয়েছেন গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ। ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে বেসরকারি ইউনিভার্সিটির পড়াশোনাতেও ছিলেন তুখোড়। অনার্সে আউট অব ফোরে পেয়েছেন সিজিপিএ ৩.৯৫।

ছোট বেলায় তার স্বপ্ন ছিল টিভি প্রেজেন্টার হওয়ার। আরো বেশি ইচ্ছে ছিল ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়ার। আর সে ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ\’র ভর্তি বাতিল করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়াশোনা করেন এই লাস্যময়ী।

তার অন্যান্য পারফরমেন্সের কারণে এবার তার সামনে সুযোগ এসেছে ভারতীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতা \’মিস ইন্ডিয়া এলিট-২০১৮\’ এর বিচারক হিসেবে কাজ করার। আর সেই লক্ষ্যে তিনি এখন প্রস্তুত হচ্ছেন ভারতে যাওয়ার। আগামী ডিসেম্বরে তার এই প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে।

\’মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৭\’ প্রতিযোগিতায় অবস্থান তার দ্বিতীয়। তাই কিঞ্চিৎ দুঃখবোধ থাকলেও মোটেও হতাশ নন তিনি। কারণ জাহারা মনে করেন ২৫ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে ২য় হওয়াটাও কম অর্জন নয়। সৌজন্যে- সময়নিউজ টিভি

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ

Scroll to Top