প্রায় সাত মাসের লম্বা সফর শেষে ইন্ডিয়ান আইডল সিজন-১৩ এর ট্রফি জিতলেন অযোধ্যার ভূমিপুত্র ঋষি সিং। প্রত্যাশিতভাবেই ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি উঠল ঋষির হাতে। চলতি সিজনের শুরু থেকেই জনতার পছন্দের শীর্ষে ছিলেন প্রতিযোগী ঋষি সিং। ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলিও স্বয়ং ঋষির ভক্ত। ইনস্টাগ্রামেও ঋষিকে ফলো করেন বিরাট।
রোববার (২ মার্চ) ইন্ডিয়ান আইডল সিজন-১৩ এর চূড়ান্ত পর্ব শেষ হয়। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় ঋষির নাম। সোনালী ট্রফি জেতার পাশাপাশি একটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং ২৫ লাখ টাকার পুরস্কারমূল্য পেয়েছেন ঋষি।
এদিকে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বাংলার মেয়ে দেবস্মিতা রায়। দ্বিতীয় হওয়া দেবস্মিতার ঝুলিতে এলো ১৫ লাখ টাকা মূল্যের পুরস্কার। ইন্ডিয়ান আইডলের সেরা তিনে ঋষি-দেবস্মিতা ছাড়া জায়গা করে নিয়েছিলেন চিরাগ কোতওয়াল।
ইন্ডিয়ান আইডল ঋষি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে এর আগে কেউ চিনতো না, জানতো না। আমার পরিচয় খুঁজে দিয়েছে এই শো। সবার এতো ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। এ মিউজিক্যাল জার্নিটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। এর জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীতে আমি আরও বেশি পরিশ্রম করব। আমার এ পথচলায় যারা আমাকে সমর্থন করেছে সবাইকে ধন্যবাদ।’
দ্বিতীয় হওয়া দেবস্মিতার প্রশংসা করে ঋষি বলেন, ‘দেবস্মিতার সঙ্গে প্রতিয়োগিতা করে প্রথম হওয়া খুবই কষ্টকর ছিল। সে প্রথম রানার আপ হয়েছে। আমি মনে করি, যে কেউ এ প্রতিয়োগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো।’
২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ইন্ডিয়ান আইডল সাত মাসের লম্বা সফর পার করে শেষ করল এই রিয়ালিটি শো। গত সিজনে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ মুহূর্তে ট্রফি হাতছাড়া হয়ে যায় বনগাঁর মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলালের। এবারও ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারলেও ট্রফি অধরাই থাকল বাংলার মেয়ে সোনাক্ষী, দেবস্মিতা, বিদিপ্তাদের।
ইন্ডিয়ান আইডলের ফাইনালে এই তিন জন ছাড়াও জায়গা করে নিয়েছিলেন বিদিপ্তা চক্রবর্তী, সোনাক্ষী কর এবং শিবম সিং। আদিত্য নারায়ণের সঞ্চালনায় এবার ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের আসনে ছিলেন হিমেশ রেশমিয়া, বিশাল দাদলানি ও নেহা কক্কর।
ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিচালক জুটি আব্বাস-মস্তান, সঙ্গীত পরিচালক সেলিম মার্চেন্ট, পরিচালক-সঙ্গীতশিল্পী বিশাল ভরদ্বাজ ও তার জীবনসঙ্গিনী রেখা ভরদ্বাজ।