বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক সিদ্ধান্তটি জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নায়ক সায়মন সাদিক। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সায়মন জানান, আজ কার্যনির্বাহী পরিষদের নবম সাধারণ সভা ছিল। এ সভায় অন্য সদস্যদের সম্মতি নিয়ে জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
কী কারণে এই সিদ্ধান্ত
স্থগিতের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, জায়েদ খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কথা বলেছেন, যা সমিতির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।
সায়মন আরও জানান, পরে সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলী ও সমিতির আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গণমাধ্যকে জানানো হবে।
এদিকে তার বিরুদ্ধে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটি শিল্পী সমিতির সংবিধানবিরোধী বলে আজ সকালে দাবি করেন জায়েদ খান। তিনি অভিনেত্রী নিপুণ বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন ১ এপ্রিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হলে তিনি আইনিব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, আর্টিস্ট রুম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫’ এই ঠিকানায় নিপুণ বরাবর চিঠিতে জায়েদ খান লিখেছেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি আপনার ইস্যুকৃত বেআইনি নোটিশের জবাব। আমি পেশাগত কাজে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি। এ সময় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি প্রেরণ করেন আমাকে। আমি দেশের বাইরে থাকায় যথাসময়ে নোটিশটি আমার ওপর জারি হয়নি। ৩১ মার্চ সেটি আমি পেয়েছি। নোটিশের জবাব প্রদান করা হলো।’
জায়েদ সেখানে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ওই নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। মাননীয় আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি ‘frustrate’ করার অসৎ উদ্দেশ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে। আমার সদস্যপদ নিয়ে যে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। ওই অবৈধ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত যে কোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’