‘পাঠান’ তিনদিনেই ৩০০ কোটি, আয়ের নিরিখে হার মানলো টাইটানিক-ফরেস্ট গাম্পও!

বক্সঅফিসে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে শাহরুখ-দীপিকার পাঠান। মুক্তির প্রথম তিনদিনেই বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে এই ছবি। এখনও পুরোদমে এগিয়ে চলেছে পাঠানের অগ্রযাত্রা, মানুষের আগ্রহ ছবিটিতে ঘিরে বাড়ছে আরও। এরই মধ্যে পাঠান ভেঙে দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আয়কারী একাধিক সিনেমার রেকর্ড। এমনকি ফরেস্ট গাম্পসহ আয়ের হিসেবে হলিউডের শীর্ষ কিছু ছবিকেও এখন টেক্কা দিচ্ছে পাঠান।

গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে পাঠান। বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার এই তিনদিনের আয়ের হিসেব প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, এই তিনদিনে বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে পাঠান।

পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার অর্থাৎ মুক্তির তৃতীয়দিনে ভারতে পাঠানের আয় ৩৬ কোটি রুপি। প্রথম দু’দিনের চেয়ে যা বেশ কম। তবে বিশ্বের অন্যান্য হলে পাঠানের এমন মন্দা ছিল না এদিন। মুক্তির প্রথম দিনেই ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাঠানের আয়। দ্বিতীয় দিন পাঠান ৭০ কোটি রুপির ব্যবসা করে ভারতে। বিশ্বের বক্স অফিসে দ্বিতীয় দিনের শেষে এই ছবির আয় ছাড়িয়ে যায় ২০০ কোটির গণ্ডি। তৃতীয় দিনে এই ছবি প্রবেশ করে ৩০০ কোটির ক্লাবে।

মজার বিষয় হলো, আয়ের দিক থেকে শুধু ভারত নয়, হলিউডের তাবড় কিছু ছবিকেও এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পাঠান। ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) ছবিটি মুক্তির পর প্রথম তিন দিনে ২৩১ কোটির ব্যবসা করেছিল। ১৯৯৪ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর প্রথম তিন দিনের মোট আয় ছিল প্রায় ২০০ কোটি রুপি ওই বছরই জুন মাসে মুক্তি পায় ‘দ্য লায়ন কিং’। এই ছবির প্রথম তিন দিনের মোট আয় ছিল ১৯৯ কোটি। এছাড়া জনপ্রিয় হলিউড ছবি ‘বেবিস ডে আউট’ মুক্তির পর প্রথম তিন দিনে প্রায় ২৫ কোটির ব্যবসা করেছিল।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এই ছবিগুলো নব্বই দশকের। তাই মুদ্রার মানের তারতম্যের কারণে তখনকার ছবিগুলোর আয়ের অঙ্ক এখনকার চেয়ে কম হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এই তুলনার থেকে একটি ধারণা পাওয়া যায়। অবশ্য হালের ছবি অ্যাভেঞ্জার্স বা অ্যাভেটারের মতো ছবিগুলোর চেয়ে পাঠানের আয় অনেকটাই কম।

সংবাদ সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা