বগুড়া ৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রচারণার ফাঁকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অফিসে চা খেতে গেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি সেখানে ২০ মিনিটের মতো সময় কাটান।
হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো কারণে নয়, শুধুমাত্র চা খাওয়ার জন্যই আমাকে ডেকেছিল। সৌজন্যবোধ রক্ষার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। গত নির্বাচনে আমার উপর হামলা করা হয়েছিল। এবার যেন ভোটকেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হয় এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের ব্যাপারে র্যাবের কাছে অনুরোধ করেছি।\’
র্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, \’বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এসেছিলেন। তিনি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যাপারে আমাদের অনুরোধ করেছেন। আমরা তাকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছি।\’
বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা হিরো আলম। তিনি এক সময় কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা (ডিশ সংযোগ) করতেন। ২০০৮ সালে ২৩ বছর বয়সে তিনি অভিনয় শুরু করেন। এরপর নিজের অভিনয় ও গানের দৃশ্য রেকর্ড করে কেবল নেটওয়ার্কে প্রচার করতে থাকেন। আস্তে আস্তে নিজ এলাকার লোকজনের কাছে তার জনপ্রিয়তা তৈরি হয়। ওই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সদস্যপদে পর পর দুবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং দুবারই পরাজিত হন।
২০১৬ সালে তিনি ‘হিরো আলম’ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে অভিনয় ও গানের দৃশ্য ছড়িয়ে দেন। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা হিরো আলম ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেন। তবে তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে তিনি ভোটবর্জনের ঘোষণা দেন। ঘোষিত ফলে দেখা যায়, সিংহ প্রতীকে ভোট পড়ে ৬৩৮টি।