মানুষ তার উপযুক্ত জীবন সঙ্গীর সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে বিয়ের মাধ্যমে। উপযুক্ত মানুষের সাথে অটুট বন্ধনে জীবনকে আটকে রাখার উদ্দেশ্য নিয়েই হাজার বছরের ঐতিহ্য অনুসারে মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। বহু যুগ ধরে মানুষ ধারণা করে আসছেন, বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ একজন আরেক জনের সঙ্গে ঐশ্বরিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের পর কেউ যখন উপলব্ধি করেন, তিনি তার সঠিক জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছেন, তখন সেখানেই সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে।আজ আমরা আপনাদের কাছে উপস্থিত করেছি জনপ্রিয় আট বলিউড তারকার হৃদয় বিদারক ঘর ভাঙ্গার গল্প। তবে এই তারকারা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সম্পর্কের ইতি টানতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলকিত সম্রাট ও শ্বেতা রোহিরা
দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন । পুলকিত ও শ্বেতার বিয়ের পর গুজব রটে যায় পুলকিত ও অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম বিবাহ বহির্ভূত প্রেমে জড়িয়ে পরেছেন। ইয়ামি ছিলেন ‘সানাম রে’ সিনেমায় পুলকিতের সহ অভিনেত্রী। এ দিকে ভালোবেসে বিয়ে করার পরেও পুলকিত জানিয়ে দেয়, শ্বেতা তার মনের মানুষ হতে পারেনি।যার ফলে তাদের ভালোবাসার সংসারে অচিরেই চিড় ধরে যায় এবং বারো মাসের মাথায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
মল্লিকা শেরাওয়াত ও করণ সিং
মল্লিকা শেরাওয়াত বিয়ে করেছিলে করণ সিংকে । পেশায় করণ সিং ছিলেন একজন পাইলট (বিমান-চালক)। যদিও মল্লিকা এ বিয়েতে রাজী ছিলেনা। পরবর্তীতে তিনি সংসার ধর্ম ত্যাগ করে নিজের ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করেন।তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের মেয়াদ ছিলো মাত্র বারো মাস।
মনীষা কৈরালা ও সম্রাট দাহাল
২০১০ সালে বিয়ের পর মনীষা বুঝতে পারলেন তিনি আসলে এই বিয়েতে সুখি নন। এমনকি মনীষা তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন- ‘আমার স্বামীই আমার সবচেয়ে বড় শত্রু।’ ২০১২ সালে এই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
মুকেশ আগারওয়াল ও রেখা
এটি কিঞ্চিৎ ভিন্নধর্মী উদাহরণ । ১৯৯০ সালে তাদের বিয়ে হয়। তার এক বছর পরেই মুকেশ আত্মহত্যা করেন তখন রেখা ছিলেন লন্ডনে। তবে মৃত্যুর আগে মুকেশ সবাইকে জানিয়ে দিয়ে যায়- তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন।
চহত খান্না এবং ভারত নরসিংহানি
বিয়ের পরে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী তার অভিনয় জগত থেকে সম্পূর্ণরূপে বিদায় নিয়ে নেন। এর পরেও তিনি পারিবারিক দাম্পত্য কলহের শিকার হয়ে মাত্র ৭ মাসের মাথায় এই সম্পর্কের ইতি টানেন।
সাজিদ নদিয়া ধাওয়াল ও দিব্যা ভারতী
এ গল্পে কিছুটা রহস্য রয়েছে। বিয়ের ১১ মাস পরে এক এপার্টমেন্টের ওপর থেকে পড়ে গিয়ে প্রান হারান দিব্যা। অনেকেই মনে করেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন অথবা তাকে খুন করা হয়েছে। তার এই মৃত্যু এখনও রহস্যই হয়ে আছে।
করণ সিং গ্রোভার ও শ্রদ্ধা নিগম
পুলকিত সম্রাটের মতো এরাও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। করণ সিংয়ের পরকীয়া প্রেমের গুজব রটে যাওয়ায় শ্রদ্ধা করণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের মেয়াদ ছিলো মাত্র ১০ মাস।
কিশোর কুমার ও যোগিতা বালি
এটি ছিলো কিশোর কুমারের তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পরেও যোগিতা বালি সাথে মিঠুনের আন্তরিক সম্পর্ক, কিশোর কুমার অনেক কষ্ট দেয়। তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের মেয়াদ ছিলো মাত্র ২৪ মাস। পরবর্তীতে দু\’জন আলাদা হয়ে পড়েন। কিশোর কুমার নতু্ন করে ঘর বাধেন লিনা চন্দবকরের সাথে আর যোগিতা বালি সংসার শুরু করেন মিঠুনের সাথে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি