ডিম পাহাড়। নামটি শুনে নিশ্চয়ই কৌতূহল জেগেছে! সে আবার কেমন পাহাড়! এই পাহাড়ের সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে বর্ণনা করা কঠিন। জানলে অবাক হবেন, ডিম পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ২৫০০ ফুট। এই পাহাড়ে যেতে হয় দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক দিয়েই। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের কাছে ডিম পাহাড় কতটা জনপ্রিয়।
বান্দরবান জেলায় অবস্থিত এই পাহাড়টি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। পাহাড়টি বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। যা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সড়কপথ।
বান্দরবানের থানচি থেকে আলীকদম হয়ে এ পথ চলে গেছে কক্সবাজারের দিকে। ডিম পাহাড়ের নামটি শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! আসলে এই পাহাড়ের চূড়ার আকৃতি দেখতে অনেকটা ডিমের মতো। এ কারণেই স্থানীয়রা একে ডিম পাহাড় নামেই চেনেন।
পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই সময় যেতে পারেন ডিম পাহাড় ভ্রমণে। সেখানে গেলে আকাশের মেঘ ছোঁয়ার অভিজ্ঞতা পাবেন। মনে হবে মেঘের উপর ভাসছেন। ডিম পাহাড়ের চারপাশ সবুজ আর সবুজ। পাহাড়ি রাস্তার ধারে ফুটে আছে নানা রঙের পাহাড়ি ফুল। এই পাহাড়ের চূড়ায় উঠে নিচের ঘরবাড়িকে ঠিক খেলনা বাড়ি বলে মনে হবে। এমনকি পাহাড় থেকে শংখ নদী দেখতেও মনে হয় এঁকেবেঁকে চলা সাপের মতো।
ডিম পাহাড়ে যাবেন কিভাবে>>
প্রথমে দেশের যে কোনো স্থান থেকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চকরিয়া বাস টার্মিনালে যেতে হবে। ঢাকা থেকে নন এসি বাস ভাড়া পড়বে ৭৫০ টাকা। এছাড়াও ট্রেনে চট্রগ্রাম গিয়ে বাসে চকরিয়া যেতে পারেন। চট্রগ্রাম থেকে চকরিয়া জন প্রতি বাস ভাড়া ১৭০ টাকা। চকরিয়া বাস টার্মিনাল থেকে বাস কিংবা চাঁদের গাড়িতে চড়ে যেতে হবে আলীকদমে। লোকাল ভাড়া জন প্রতি ৬৫ টাকা। রিজার্ভ ভাড়া পড়বে ১২০০-১৪০০ টাকার মতো।
আবার ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে বান্দরবান চলে আসতে পারেন। সেখান থেকে লোকাল বাসে কিংবা চাঁদের গাড়িতে করে থানচি বাজার চলে যান। এরপর এখান থেকে চাঁদের গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলে করে ডিম পাহাড়ে যেতে পারবেন।
ডিম পাহাড়ে এসে থাকবেন কোথায়?
আলিকদমে থাকার তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। চট্টগ্রামে ফিরে যেতে হবে রাত্রিযাপনের জন্য। সেখানে থাকার জন্য ছোট-বড় বিভিন্ন মানের হোটেল পেয়ে যাবেন।