যিনি রাজনীতির মঞ্চে কথার ঝড় তোলেন, বক্তৃতায় মাঠ কাঁপান। এবার রকস্টার হয়ে মঞ্চ মাতালেন সেই তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সভায় তিনি রকস্টারের মতো নাচে-গানে উপস্থিত দর্শক-স্রোতা-অতিথিদের মাতোয়ারা করে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন অভিনেতা সাজু খাদেম।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা শেষে সঙ্গীতানুষ্ঠান শুরু হয়। অভিনেত্রী তারিন ও প্রতিমন্ত্রী মুরাদ মঞ্চে উঠলেন। দুজন একসঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন। গাইলেন, ‘আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না, ফেরারি পাখিরা…’। অভিনয়শিল্পী ও রাজনীতিক যুগলের গানে মুহুর্মুহু করতালিতে ভরে গেল শিল্পকলার মূল মিলনায়তন। দেয়ালে হতে লাগল প্রতিধ্বনি। মুগ্ধতা বেড়ে গেল দর্শকদের, সেই সঙ্গে চাহিদা। গানের অনুরোধ পেতে থাকলেন ডা. মুরাদ।
এবার তিনি দাঁড়ালেন একা। কি বোর্ড, ড্রাম, প্যাড, লিড গিটার, বেজ গিটার চেক করে নিলেন। চিরপরিচিত রকস্টারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ডা. মুরাদ চলে এলেন মঞ্চের একেবারে সামনে। কণ্ঠে নামলো সুর-ঐ দূর পাহাড়ের ধারে, দিগন্তেরই কাছে, নিঃসঙ্গ বসে একটি মেয়ে, গাইছে, আপন সুরে… সামনের সারির দর্শকেরা উঠে পড়েছে।
প্রতিমন্ত্রীর গানের সুরে শরীরকে স্থির রাখতে পারলো না… উর্মিলা শ্রাবন্তী, বিজরী বরকতুল্লাহ, সুইটি… সকলেই মিলে মঞ্চের সামনেই মেতে উঠলেন নাচে। আর বাকি দর্শকদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হতে থাকলো ‘আপন সুরে, আপন সুরে, আপন সুরে…’। নাচে গানে যখন মাতোয়ারা সবাই। তখন শুরু হলো ‘ওরে মালেকা ওরে সালেকা, ওরে ফুলবানু পারবি না বাঁচাতে…’ প্রাণ রায়, মামুন অপু বা আরো অনেক শিল্পীই উঠে এসেছেন মঞ্চে। মন্ত্রীকে ঘিরে শুরু করে দিয়েছেন নাচ। যেন এক সুরের লহরী ঘুরছে মিলনায়তনেরে ঘরে।
যেন রীতিমতো একজন ব্যান্ডের মূল ভোকালিস্ট হয়ে উঠেছেন ডা. মুরাদ কিংবা একজন রকস্টার। ক্লান্থিবিহীন কণ্ঠে এবার চড়লো আজম খানের বিখ্যাত বাংলাদেশ গান। ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে, জন্মে ছিল একটি ছেলে মা তার কাঁদে, ছেলেটি মরে গেছে, হায়রে হায় বাংলাদেশ… বাংলাদেশ…’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার দেয়ালে দেয়ালে ইটে ইটে ছড়িয়ে পড়লো ‘বাংলাদেশ…’
রকস্ট্রিট নামে একটি ব্যান্ড দলও নাকি আছে রকস্টার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের। নিজেই জানালেন সে কথা। সেই ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট তিনি। প্রতিমন্ত্রী এটাও জানালেন, এই নাট্যশালায় নিজের দলের কনসার্ট করবেন। যদিও কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে ডা. মুরাদকে গাইতেও দেখা গিয়েছিল।