কলকাতার জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও তার স্বামী রোশন সিংয়ের সংসার ভাঙার খবর গত বছর থেকেই। দু’জনই বিষয়টি মেনে নিয়ে এতদিন চুপ ছিলেন।
তবে হুট করে সংসার টিকাতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রোশন। বিয়ে বিচ্ছেদ রুখতে হিন্দু বিবাহ আইনের ৯ নম্বর ধারায় ‘রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইট’ ধারায় আদালতে মামলা করেছেন শ্রাবন্তীর তৃতীয় স্বামী।
রোশনের এমন পদক্ষেপে অনেকে মনে করছেন, বিয়ে বিচ্ছেদের পর খোরপোশের চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য এমনটি করেছেন তিনি।
তবে এমন যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে রোশন জানান, শ্রাবন্তীর যেমন জীবন যাপনের জন্য রোশনের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই, তেমনই রোশনও শ্রাবন্তীর মুখাপেক্ষী নন। তিনি কেবল মাত্র অভিনেত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চান।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম জানায়, এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রাবন্তীকে আদালত আগামী জুলাই মাসে তলব করেছেন।
২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল রোশান সিংয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্রাবন্তী। ভারতের চণ্ডীগড়ে পাঞ্জাবি রীতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ভালোই কাটছিল এই দম্পতির জীবন। কিন্তু গত দুর্গাপূজার আগে থেকে স্বামী রোশানের সঙ্গে থাকছেন না শ্রাবন্তী।
রোশনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পিছনে অর্থনৈতিক কারণ আছে বলে শোনা যায়। এমন কথাও শোনা যায়, তিন প্রাক্তনের যাবতীয় দায়ভার শ্রাবন্তীকেই নিতে হতো।
শ্রাবন্তী প্রথম বিয়ে করেছিলেন ২০০৩ সালে, চিত্রনির্মাতা রাজীব বিশ্বাসকে। তাদের ঘরে ঝিনুক নামে তাদের এক ছেলেও রয়েছে। কিন্তু শ্রাবন্তীর সেই বিয়ে টেকেনি। ছেলেকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান তিনি। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয়। এরপর কৃষ্ণ বিরাজের সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়েটাও টিকাতে পারলেন না। তৃতীয়বার ঘর বাঁধেন রোশান সিংয়ের সঙ্গে।