বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-র ভোট গণনা চলছে। গত এক মাস ধরে ৮ দফায় ভোটগ্রহণ শেষে আজ রোববার (০২ মে) সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
গণনা যত এগোচ্ছে, ততই তৃণমূলের জয়ের ছবি স্পষ্ট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০০ আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল আর বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৮৬ আসনে।
এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। তৃণমূলের জয়কে তিনি বাঙালির জয় বলে আখ্যায়িত করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রতিক্রিয়ায় নচিকেতা বলেন, আজ বাঙালির জয়ের দিন। বাঙালির আত্মশ্লাঘার দিন। বাঙালি জাতিরা প্রমাণ করিল, বাঙালি শ্রেষ্ঠ প্রজাতি। কোনো এক মনীষী বলেছিলেন, বাংলা আজ যেটা ভাবে, ভারত সেটা ভাবে পরশু। বাঙালিদের এই অহঙ্কারের জায়গাটা একটা সময় পর্যন্ত ছিল।
তবে ইদানীং আমরা যেন নিজেদের বাঙালি ভাবতে লজ্জা পাচ্ছিলাম। এখনও প্রচুর মানুষ আছেন, যারা ইংরেজিতে কথা বলতে ভালবাসেন, হিন্দিতেও। কিন্তু আজ একটা বিষয় প্রমাণিত হয়ে গেল, যে দলটা প্রায় গোটা ভারতকে মুঠোয় নিয়ে ফেলেছে, বাংলাকে তারা কব্জা করতে পারল না। এটা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের জয়।
বাঙালি সব অর্থেই দূরদর্শী। এটা কিন্তু আজ প্রমাণিত হয়ে গেল। সবাই বলেছিল, এ রাজ্যে বর্তমান সরকার আর টিকবে না। শাসকদলকে পাততাড়ি গুটিয়ে ঘরে ঢুকে যেতে হবে। কিন্তু সেই বাঙালিই জেতাল। আমার এক বন্ধু ভোটপর্বের সূচনাতেই বলেছিল, ‘নবান্নে আবার হাওয়াই চটি। ’ সকলে শুনে হেসেছিল হয়তো। আজ কিন্তু সেটাই হয়েছে। আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি, আমরা অনেকের থেকে অনেক গুণ এগিয়ে।
হুইল চেয়ারে বসে এক জন ভদ্রমহিলা গোটা রাজ্য ঘুরলেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের পাশে থাকার চেষ্টা করলেন। উন্নয়নের কথা বললেন। আর ভারত-কব্জা করা একটা দল দিল্লি-বাংলা যাতায়াতেই প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলল। গোটা ভোটপর্বের জন্য খরচ শুনেছিলাম প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা! এই টাকা দিয়ে বাঙালিকে কেনা যায় না। দু’চারটে গাধা কেনা যায় হয়তো। কারণ, শয়তান তো চিরকালই থাকে। ওসব গুনতিতে আসবে না।