বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটে ফলাফলে শুরু হয়েছে চরম উন্মাদনা। একুশের মহাসংগ্রামে শেষ হাসি কি হাসছে তৃণমূল? প্রাথমিক ট্রেন্ড অন্তত তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে। পরিবর্তন নয়, ট্রেন্ড অনুযায়ী প্রত্যাবর্তনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বঙ্গবাসী।
তৃতীয়বারের মতো আবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ছে তৃণমূল? ট্রেন্ডে এই ইঙ্গিত মেলার পরই জেলায় জেলায় উৎসবের মুডে তৃণমূলকর্মীরা। জয়ের আভাস মিলতেই টুইটারে সোচ্চার হলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি। টুইটারে মিমি লিখলেন, \’খেলা হচ্ছে তো\’।
এবারের নির্বাচনে \’খেলা হবে\’ স্লোগান ঘিরে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। \’খেলা হবে\’ স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপও চড়েছে। তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য খেলা হবে স্লোগানকে গান আকারে সামনে আনেন। যা রাতারাতি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগানকে কটাক্ষ করে সোচ্চার হন মোদি-শাহরা।
এরই প্রেক্ষিতে একুশের নির্বাচনের ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে \’খেলা হবে\’ স্লোগান নিয়ে মিমি যেভাবে সরব হলেন, তা রাজনৈতিক দিক দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, বিজেপিকে কটাক্ষ করেই মিমির এই মন্তব্য।
অন্যদিকে, ট্রেন্ডে তৃণমূলকে স্বস্তি দিলেও, হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে পিছিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীকে টপকে এগিয়ে প্রথমবার পদ্ম প্রতীকের সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, এবার বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। বরাবর ভবানীপুরেই দাঁড়ান তৃণমূল নেত্রী। এবার নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোয় ভবানীপুরে তৃণমূলের হয়ে লড়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ভবানীপুরে বিজেপিরর প্রার্থী হয়ে লড়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে এবার ভবানীপুরকে পাখির চোখ করেছিল গেরুয়াবাহিনী। রীতিমতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারতে দেখা গিয়েছিল অমিত শাহকে।
এদিকে, প্রাথমিক ট্রেন্ডে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও দিনের শেষে শেষ হাসি হাসবে বিজেপিই, এমন আত্মবিশ্বাসের সুরই শোনা গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের গলায়। এদিন ভোটগণনার শুরুতে কৈলাশ বলেন, \’আমরা জানতাম বিজেপির ফল পোস্টাল ব্যালটে খারাপ হবে। পোস্টাল ব্যালটে ব্যাপক কারচুপি করেছে তৃণমূল। তা সত্ত্বেও আমাদের হেভিওয়েট প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, নিশীথ প্রামাণিকরা এগিয়ে রয়েছেন\’।
কৈলাশ আরো বলেন, \’এত তাড়াতাড়ি বলা সম্ভব নয়, কারণ অনেক রাউন্ড বাকি রয়েছে এখন। সন্ধ্যায় ছবিটা পরিষ্কার হবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যে আমরা ১০০ পার করতে পারব না। আমরা ১০০ পার করব এবং ম্যাজিক সংখ্যাও পার করব\’।